কুম্বলের পরামর্শে বিদেশি ফিজিও,
জানতেন না ধোনি

ডেনে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ওঠার পরেও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি জানতেন না তাঁর দলে নতুন ফিজিও যোগ দিচ্ছেন।
আপনার টিমে নতুন সদস্য আসছেন তো! সাংবাদিক সম্মেলন সেরে ফেরার সময় বলা হলে ধোনি আনন্দবাজারকে বললেন, “কে নতুন অতিথি? অশ্বিন?” তাঁকে বলা হল, নতুন ফিজিও আসছেন। ইভান স্পিচলি। দুপুরে ক্রিকেটারদের হোটেলে বসেই যাঁর নাম চূড়ান্ত করলেন বোর্ড কর্তারা। এ বার অধিনায়কের প্রতিক্রিয়া, “ভাল হবে তো?” বোঝা গেল, নতুন অতিথিকে চেনেন না। কুম্বলের আইপিএল টিমের ফিজিও সেটাও জানতেন না। তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ যেটা মনে হল ধোনিও ভাল ফিজিওর প্রার্থনায় ছিলেন।
ডালমিয়া-যুগের অবসানের পর এই প্রথম কলকাতায় হওয়া বোর্ডের কোনও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। শেষ কবে এখানে বৈঠক করেছেন যেমন অনেক বোর্ড সদস্য মনে করতে পারছেন না, তেমনই ক্রিকেট অনুরাগীরা মনে করতে পারছেন না, শেষ কবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে বিদেশি ফিজিওকে দেখা গিয়েছে। অনিল কুম্বলের পরামর্শে এ বার দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিচলিকে দু’বছরের জন্য ফিজিও নিয়োগ করল বোর্ড। কুম্বলের সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে কাজ করেছেন স্পিচলি। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ফুটবল এবং রাগবি দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মুম্বইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের সময় তিনি ধোনিদের সঙ্গে যোগ দেবেন। ভারতীয় দলের শেষ বিদেশি ফিজিও ছিলেন জন গ্লস্টার। ২০০৮-এর ফেব্রুয়ারিতে তিনি চলে যাওয়ার পর প্রায় পৌনে চার বছর কাটিয়ে দেওয়া হল অনিয়মিত দেশি ফিজিও দিয়ে। শোনা গেল, কয়েক জন বোর্ড সদস্য বৈঠকে এমনও দাবি তুলেছেন, নবনিযুক্ত ফিজিওকে প্রথমেই বলে দেওয়া হোক, চোট-আঘাতের ব্যাপারে সৎ থাকতে হবে।
এ দিকে, টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে হরভজন সিংহ লাইফলাইন পেলেন। ক্রিকেটারদের চুক্তিতে তাঁকে ‘এ’ গ্রেডেই রেখে দিল ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু একই সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ‘সি’ থেকে ‘বি’ গ্রেডে তুলে এনে বুঝিয়ে দিল, বোর্ড প্রেসিডেন্টের শহরের স্পিনারও উঠে আসছেন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। আর এক উঠতি স্পিনার রাহুল শর্মাও (‘সি’ গ্রেড) ঢুকলেন বোর্ডের চুক্তিতে।
ইংল্যান্ড সফরের বিপর্যয়-উত্তর তারুণ্য নীতির ছাপ গ্রেডেশন চুক্তিতেও ধরা পড়ছে। সিনিয়রদের সঙ্গে ‘এ’ গ্রেডে ঢুকে পড়লেন বিরাট কোহলি এবং সুরেশ রায়না। চুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হলউমেশ যাদব, বরুণ অ্যারনের মতো তরুণদের। তেমনই তিনটে গ্রেডের কোনওটাতেই স্থান হল না চোটপ্রবণ পেসার আশিস নেহরার। আগের বছর যুবরাজকে ‘বি’ গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার পর তাঁকে ‘এ’ গ্রেড ফিরিয়ে দেওয়া হল। বাংলা থেকে চুক্তিতে স্থান পেয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং মনোজ তিওয়ারি। দু’জনেই ‘সি’ গ্রেডে। তবে বিশ্বকাপ-জয় ক্রিকেটারদের মাইনে বাড়াতে পারল না। আগের মতোই তিনটে গ্রেডের জন্য টাকার অঙ্ক থেকে গেল যথাক্রমে ১ কোটি, ৫০ লক্ষ এবং ২৫ লক্ষ।
লালা অমরনাথের জন্মশতবার্ষিকী বছরে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিল, রঞ্জি ট্রফি এবং সীমিত ওভারের ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা দুই অলরাউন্ডারকে দেওয়া হবে লালা অমরনাথ ট্রফি এবং আড়াই লক্ষ টাকা। ঠিক হল, আইপিএলের পারফরম্যান্স এ বার থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটের এক দিনের ম্যাচের রেকর্ডে স্থান পাবে। নতুন প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসনের উদ্যোগে সিদ্ধান্ত হল, আইপিএলের সেমিফাইনাল বা ফাইনালকে আর্থিক সঙ্কটে থাকা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের বেনিফিট ম্যাচ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই সব ম্যাচের টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের অংশ দেওয়া হবে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.