ড্রাইভারদের বিরল কার্ড পেয়েছিলেন গাওস্কর |
|
ধোনিদের পরের স্টেশন আজ নয়ডা
সব্যসাচী সরকার • কলকাতা |
|
কে নেই সেই তালিকায়?
এক কথায়, গোটা টিম ইন্ডিয়া। আজ রবিবারের দুপুরে ধোনির টিম ইন্ডিয়া-র গন্তব্য একটাই। স্টেশন ‘বিআইসি’বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল সার্কিট। সচিন তেন্ডুলকর যে নয়ডার ঐতিহাসিক ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রি-তে চেকার্ড ফ্ল্যাগ নাড়াবেন, সবাই জানে। হামার-মালিক ধোনির গাড়ি-প্রেমের কথাও এখন ক্লাস সিক্সের ছাত্র জানে। কিন্তু তাই বলে দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ-সহবাগ? বিরাট-রায়না-যুবরাজ? বিআইসি-র বিখ্যাত লাউঞ্জে এঁদের সকলেরই নেমতন্ন। এবং সবাই সম্মতি দিয়েছেন আসার ব্যাপারে। উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি সুনীল গাওস্করের। যাঁকে সংগঠকরা ভুল করে পাঠিয়েছিলেন এফ ওয়ানের নামীদামি ড্রাইভারদের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাক্রিডিটেশন। গাওস্কর সবিনয়ে জানান, এই কার্ড তাঁর জন্য নয়। এবং সে দিন তিনি থাকতে পারবেন না। ইডেনের প্রেসবক্সে বসে গাওস্কর আনন্দবাজারকে বললেন, “ড্রাইভার্স অ্যাক্রিডিটেশনের যে এত দাম আমি জানতাম না। লাউঞ্জ পাসও ওরা আমাকে দিয়েছিল। কিন্তু একটা বিয়ের নেমন্তন্ন আছে বলে আমি এ বার যেতে পারছি না। তবে রোহন আর ওর বন্ধুবান্ধবরা যাচ্ছে।” কোনও দিন এফ ওয়ান রেস না দেখা সানি জানাচ্ছেন, অদূর ভবিষ্যতে তাঁর বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল সার্কিট ঘুরে দেখার ইচ্ছে রয়েছে। “রেসটা শেষ হোক। তার পর জেপি গ্রুপের চেয়ারম্যান মনোজ গৌরের সঙ্গে কথা বলব।” আর বিআইসি-র অন্যতম কর্তা আসকারি জাইদি জানাচ্ছেন, গাওস্কর এলে তাঁরা গর্বিত বোধ করতেন। “আমরা সানিকে চেয়েছিলাম। আশা করি ভবিষ্যতে উনি নিশ্চয়ই আসবেন।”
সানি না হয় সাক্ষী থাকতে পারছেন না ঐতিহাসিক রেসের। কিন্তু বাকিরা? হায়দরাবাদ থেকে ফোনে রীতিমতো উত্তেজিত লাগে ভিভিএস লক্ষ্মণকে। যিনি বললেন, “আমিও সচিনের মতো শুমাখারের ভক্ত। কিন্তু এই রেসে কার্তিকেয়নকে সমর্থন করব। আমি নিশ্চিত এই রেস ভারতীয় খেলাধুলোর ছবিটাই বদলে দেবে।” রেস শেষে মার্সিডিজ বেন্জ যে বিআইসি-তে একটা ড্রাইভিং অ্যাকাডেমি খুলবে তা-ও জানেন লক্ষ্মণ। “এ রকম অ্যাকাডেমি ভারতে খুব দরকার ছিল। আগে ট্রেনিং নিতে ড্রাইভারদের বিদেশে যেতেই হত। এখন আর যেতে হবে বলে মনে হয় না। আমি এফ ওয়ান ফলো করি। এবং রেসটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।” রেড বুল কেন জিতছে বা সেবাস্তিয়ান ভেটেল কেন লুই হ্যামিলটন বা মাইকেল শুমাখারকে পিছনে ফেলছেন তাঁর হালহকিকত একেবারে ঠোঁটের ডগায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। কলকাতা থেকে রবিবার ভোরে দিল্লির ফ্লাইট নিচ্ছেন এবং ধোনির পরিকল্পনাএয়ারপোর্ট থেকে সোজা বিআইসি। পরিষ্কার বলছেন, “এই রেসটা তো আমি দেখবই। ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। আগে আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় মোটো জিপি দেখেছি। কিন্তু এফ ওয়ান এই প্রথম। আশা করি আমাদের কার্তিকেয়ন ভাল করবে।” ধোনির মতো বিপজ্জনক ভাবে বাঁচতে ভালবাসেন সহবাগ। তিনিও সংগঠকদের জানিয়ে দিয়েছেন, রবিবার দুপুরটা বিআইসি-র লাউঞ্জেই কাটাবেন। যথারীতি তাঁর সঙ্গী হচ্ছেন দিল্লিগামী ফ্লাইটে থাকা দুই তরুণ সতীর্থ বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়না।
কোহলি বা রায়নার মতো ধোনির সঙ্গী হতে পারছেন না গত ইংল্যান্ড সফরে জাতীয় দলে থাকা বাংলার উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। হেইকিনানের ভক্ত ঋদ্ধির এখন ভাল লাগে সেবাস্তিয়ান ভেটেলকে। কিন্তু রবিবার দুপুরে তাঁর বাজি সেই কার্তিকেয়ন। ঋদ্ধি জানাচ্ছেন, গত ইংল্যান্ড সফরেও সচিনের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত এফ ওয়ান নিয়ে কথা হত। “সচিন ক্রিকেটের মতো এফ ওয়ানটাও দারুণ বোঝে। বিভিন্ন টিম, তাঁদের ড্রাইভারদের নিয়ে খুঁটিনাটি খবর রাখে। যেমন রাখে টিমের আরও অনেকে। বিশেষ করে ধোনি। আমাদের ক্যাপ্টেন এফ ওয়ান গুলে খেয়েছে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দিল্লি টেস্ট তো আরও পাঁচ দিন পরে। আপাতত গতির বারুদে নিজেদের সেঁকে নিতে চাইছে টিম ধোনি। |