বিসিসিএল-এর খনির কয়লা বিক্রি নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ঝরিয়া। আজ সকালে কুস্তাউর কয়লাখনির এনা কোঠি লোডিং-পয়েন্টে ঘটনাটি ঘটে। ট্রাকে করে কয়লা নিয়ে যাওয়া হয়। আর এখানেই তোলা আদায়ের চেষ্টা থেকে গোলমাল বাধে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর। দু’ তরফে পাথর ছোড়াছুড়ি ও গোলাগুলিও চলে বলে অভিযোগ। বিরাট পুলিশ-বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ঝরিয়ায় ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার নেতা গয়াপ্রসাদ সিংহ ও ঝরিয়া থানার ওসি বিনোদ প্রসাদ-সহ বেশ কয়েকজন এই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন। পেটে গুলি বিঁধে দীনেশ ভুইয়াঁ ওরফে বল্টু নামে এক তরুণ এখন ধানবাদের পাটলিপুত্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধানবাদের ডিএসপি সঞ্জয় রঞ্জন বলেন, “ট্রাকে কয়লা তোলা নিয়ে ঝরিয়ার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুস্তম আনসারি ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা দলের ঝরিয়া নগর সভাপতি গয়াপ্রসাদ সিংহের লোকজনের মধ্যে বিবাদ বাধে। |
ঘটনার তদন্ত চলছে।” এই দু’টি পক্ষই খাতায়-কলমে তাদের ঘনিষ্ঠ মজুরদের ট্রাকে কয়লা তোলার কাজে ‘বঞ্চিত’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে। স্থানীয় পুলিশ-কর্তারা অবশ্য ঠারেঠোরে অন্য কথা বলছেন। বিসিসিএল-এর কাছ থেকে টেন্ডার পেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি-গোষ্ঠী ধানবাদের কোলিয়ারি থেকে কয়লা তুললেও রাজনৈতিক ‘দাদা’দের মোটা টাকা তোলা দিতে হয়। এই তোলা আদায় নিয়েই গয়াপ্রসাদ ও আনসারির দলবলের বিরোধ। পুলিশ জানায়, পাথর ছোড়াছুড়ি ও গোলাগুলি বন্ধ করতে শূন্যে ২৫-৩০ রাউন্ড গুলি চালাতে হয়। গয়াপ্রসাদ ও স্থানীয় ওসি-র মাথাতেও পাথরের ঘায়ে চোট লেগেছে। আনসারির অনুগামী দীনেশ ওরফে বল্টু,রোহিত ভুঁইয়া, বান্টি আনসারি, মণি আনসারি, সোনি আনসারি এবং গয়াপ্রসাদের ‘ঘনিষ্ঠ’ অমর সিংহ, পিন্টু সিংহ, সঞ্জয় সিংহ, লাল্লু ঝা, পাকু পাণ্ডে প্রমুখ আহত হয়েছ্নে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |