|
|
|
|
বাড়তি লোক চান মন্ত্রী |
টাকা আছে, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নে নেই কর্মীই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সরকার পরিবর্তনের পরে বরাদ্দ বেড়েছে তিন গুণ। কিন্তু কর্মী-সংখ্যা এক জনও বাড়েনি। ফলে হাতে টাকা এলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাই উন্নয়নের কাজে গতি আনার জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদে আরও ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্য কর্মী নিয়োগের দাবি তুললেন দফতরের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের কাছে দরবার করেছেন তিনি।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অধীন ৭৪টি ব্লকের মধ্যে জঙ্গলমহলের মাওবাদী অধ্যুষিত ২৩টি ব্লকও রয়েছে। কিন্তু কাজের জন্য ১৮৩ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ করা হলেও তা দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করানোর জন্য যথেষ্ট কর্মী কোথায়? ওই পর্ষদ সূত্রের খবর, তাদের সংস্থায় অনুমোদিত কর্মী-সংখ্যা ২৮। কিন্তু এই মুহূর্তে সেখানে আছেন মাত্র ১৯ জন কর্মী। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর মনে করে, কর্মীর সংখ্যা, বিশেষত ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা না-বাড়ালে ওই সব প্রত্যন্ত, অনুন্নত এলাকায় উন্নয়নের কাজে গতি আনা কঠিন।
অবিলম্বে আরও চেয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছে সুকুমারবাবু। এই ব্যাপারে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের তুলনাও টেনেছেন তিনি। ২২০ কোটি টাকা খরচ করার জন্য সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদে অনুমোদিত কর্মী-সংখ্যা যেখানে ৬০০-র বেশি, সেখানে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদে ১৮৩ কোটি টাকা খরচ করার জন্য লোকসংখ্যা সাকুল্যে ২৮। সুন্দরবন পর্ষদে কাজের তদারকির জন্য আছেন এক জন চিফ ইঞ্জিনিয়ার। একেবারে মাঠে-ময়দানে ঘুরে বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য আছেন ৫৩ জন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। অথচ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের অনুমোদিত পদ মাত্র পাঁচটি। এখন আছেন দু’জন। সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের অনুমোদিত পদ ১০টি। এখন আছেন মাত্র চার জন। সম্প্রতি এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের পদে পূর্ত দফতরের এক জন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়োগ করা হয়েছে।
অবিলম্বে এক জন সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার, দু’জন এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, ১০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং ২৫ জন সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের জন্য অর্থ দফতরের অনুমোদন চেয়েছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর। ওই দফতর সূত্রে বলা হয়, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্লকে বন, পূর্ত, কৃষি, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ চালানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য পুষ্টি প্রকল্প, স্কুলভবন ও ছাত্রাবাস নির্মাণ, রাস্তা, কালভার্ট তৈরি ও লাক্ষা চাষ ইত্যাদি। কিন্তু যথেষ্ট কর্মী না-থাকায় সেই সব কাজের তদারকির দিকটি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন বিভাগীয় কর্তারা। |
|
|
|
|
|