|
|
|
|
স্কুল সার্ভিসে বসার আগে উতরোতে হবে আরও এক পরীক্ষায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিয়মটাই বদলে গেল!
স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার জন্য এখন আর শুধু একটা পরীক্ষায় পাশ করলেই হবে না। উত্তীর্ণ হতে হবে আলাদা আলাদা দু’টো পরীক্ষায়।
স্কুলে পড়াতে ইচ্ছুক ছেলেমেয়েরা এত দিন সরাসরি স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পরীক্ষায় বসতে পারতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার এসএসসি-সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন থেকে সব আবেদনকারীকে প্রথমে বসতে হবে একটা যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষায় (টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট, সংক্ষেপে টিইটি)। তাতে ৬০% নম্বর যাঁরা পাবেন, শুধুমাত্র তাঁরাই এসএসসি-তে বসার অধিকারী হবেন।
সরকারি সূত্রের খবর: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের মতো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও টিইটি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তবে এক বার টিইটিতে ৬০% পেলে সাত বার এসএসসি পরীক্ষায় বসা যাবে। উল্লেখ্য, এ বছর থেকে নতুন নতুন বিষয়ে এসএসসি-র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন বিষয়গুলো কী, তা পরে স্থির হবে বলে কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে।
শিক্ষকদের সামগ্রিক মেধার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতেই তাঁদের নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা (টিইটি) বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকার নিজের বিষয় (সাবজেক্ট) যা-ই হোক না কেন, অন্যান্য বিষয়েও তাঁর ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞান থাকাটা জরুরি। পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন সরকার যুক্তিটি মানলেও এসএসসি-র আগে এমন যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধায় ছিল। এ বার নতুন সরকার কেন্দ্রীয় প্রস্তাব মেনে টিইটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাস দু’য়েকের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে স্কুল সার্ভিস সূত্রের দাবি।
যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষাটা হবে কী ধরনের?
এসএসসি-সূত্রের খবর: টিইটি হবে দেড়শো নম্বরের। স্টুডেন্ট সাইকোলজি, ভাষা, বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন (এমসিকিউ) মডেলে পরীক্ষাটি নেওয়া হবে। এসএসসি পরীক্ষার আগে, আলাদা দিনে নেওয়া হবে টিইটি। এর কারণ ব্যাখ্যা করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “টিইটি-তে উত্তীর্ণ না-হলে এসএসসি-র খাতাই দেখা হবে না। টিইটি পাশ করলে প্রার্থীরা শংসাপত্র পাবেন, যার ভিত্তিতে তাঁরা বসতে পারবেন এসএসসি-তে। আর এসএসসি পরীক্ষার ফি নেওয়া হবে শুধু তাঁদেরই থেকে। যাঁরা টিইটি-র গণ্ডি পেরোতে পারবেন না, তাঁদের এসএসসি-র ফি দিতে হবে না। একই দিনে দু’টো পরীক্ষা হলে এই সুযোগ থাকত না।”
শিক্ষক নিয়োগের নতুন পদ্ধতিটি কেমন হবে, সে সম্পর্কে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং সিবিএসই-র প্রতিনিধিদের নিয়ে ইতিমধ্যে একটি কর্মশালা হয়ে গিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও
উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|