দিনে দুর্গাপুজো হয়েছে। রাতে সেই সেই মন্দিরেই কালীপুজো হল। মানবাজার থানার মধুপুর গ্রামে ঘোষ পরিবারে বরাবর এই নিয়মেই দুই দেবীর আরাধনা হয়ে আসছে।
ঘোষ পরিবারের মন্দিরে দুর্গাপুজোর পরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। বিজয়া দশমীতে শুধু ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রতিমা রেখে দেওয়া হয় মন্দিরে। প্রতিদিন দুর্গা প্রতিমার সন্ধ্যা আরতি ও ভোগ দেওয়া হয়। মন্দিরের বারান্দায় কালী প্রতিমা তৈরি করা হয়। কালীপুজোর দিন সকালে দুর্গা প্রতিমা পুজো করার নিয়ম। বংশ পরাম্মরায় আজও সেই নিয়ম পালন করা হচ্ছে। দুর্গা প্রতিমার পাশেই কালী প্রতিমা রয়েছে। রাতে সেখানে কালী পুজো করা হয়। |
পরিবারের বর্ষীয়ান সদস্য প্রাক্তন ইসিএল আধিকারিক বাটুলকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “কী ভাবে একই দিনে দুর্গা ও কালীপুজো শুরু হয়েছিল, তা জানা নেই। প্রায় তিনশো বছর ধরে আমাদের বংশ পরাম্পরায় এই ভাবেই পুজো হয়ে আসছে।” পরিবারের অপর সদস্য রাম ঘোষ জানান, তাঁদের পুর্ব-পুরুষদের কাছে শুনেছিলেন, বারাণসীর পণ্ডিতদের নির্দেশে এই পুজো শুরু হয়। এই বাড়ির পুজো এখন ঘোষ মেলার পুজো নামে পরিচিত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, নব পত্রিকা নিয়ে আসা ছাড়া দুর্গাপুজোর বাকি সমস্ত নিয়ম মানা হয়। ঘোষ পরিবারের আদি বাড়ি ছিল বাঁকুড়ার পলশা গ্রামে। বাঁকুড়ার সাহাপুরের মৃৎশিল্পী বংশ পরাম্পরায় প্রতিমা তৈরি করছেন। পুরোহিতও বংশ পরাম্পরায় এখানে পুজো করেন। ভাইফোঁটার পরের দিন দুই প্রতিমা শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। মন্দিরে রয়েছে বিশাল আকারের খাড়া। কথিত রয়েছে, খাড়াটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো। পারিবারিক পুজো হলেও এই পুজোয় সব বর্ণের মানুষ আসেন। |