|
|
|
|
তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে পালায় থানায় হামলাকারীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জীবনতলা |
ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হেফাজত থেকে ছিনতাই হওয়া অভিযুক্তের খোঁজ পেল না পুলিশ। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার কালীবাড়ি এলাকা থেকে পুলিশকর্মীদের মারধর করে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিন খান নামে এক অভিযুক্তকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় জনতা। জনতার মারে ৫ পুলিশ জখম হন।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই অভিযুক্তকে ছিনতাই করে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে পাঁচটি মোটরভ্যান ক্যানিংয়ের দিকে চলে যায়। মোটরভ্যানে চাপিয়েই কুতুবউদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ। তাই ওই ঘটনায় তৃণমূলের কর্মীরা জড়িত বলে মনে করছেন জেলা পুলিশ কর্তারা। ক্যানিং থানা ও জীবনতলা থানা এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মাস ছয়েক ধরে নানা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ক্যানিং-২ নম্বর ব্লক সভাপতি মানিক পাইকের গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্যানিং-১ নম্বর ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। শৈবালবাবু বলেন, “ওই ঘটনায় আমার পরিচিত তৃণমূল কর্মী জড়িত ছিল না।” মানিকবাবুও দলীয় কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার কালীবাড়ি এলাকায় কয়েকটি গ্রামে তল্লাশি চালানো হয়। গ্রামগুলি পুরুষ-শূন্য বলে জানান অফিসারেরা। অভিযুক্ত কুতুবের বাড়ি কালীবাড়ি এলাকায়।
সোমবার কুলপি থানায় হামলার ঘটনায় এক নেতার ইন্ধন ছিল বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ। রবিবার ডাকাতির ঘটনায় ৩ জনকে ধরার পর শাসক দলের ওই নেতা অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য কুলপি থানার কয়েক জন পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের ছাড়তে নারাজ হওয়ায় ওই নেতার প্ররোচনায় থানায় হামলা করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এসপি লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীকে ধরা হবে।” |
|
|
|
|
|