|
|
|
|
হাড়োয়ায় শিশু অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার আরও একজন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার ভয়দা গ্রামের পাঁচ বছরের রিয়াজুল মোল্লাকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম হাফিজুল মোল্লা ওরফে হোসেন। তার বাড়ি বসিরহাটের বাগুন্ডিতে। অপহৃত শিশুর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ এক লক্ষ টাকা নিয়েছিল দুষ্কতীরা। হাফিজুলের বাড়ি থেকে তার মধ্যে ৮০ হাজার টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দু’জন ধরা পড়ল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে লজেন্সের লোভ দেখিয়ে বাড়ির বাগান থেকে রিয়াজুল মোল্লাকে অপহরণ করে দুই দুষ্কৃতী। এর পরে তাকে বেঙ্গালুরুর একটি ডেরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাড়ির লোককে ফোন করে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ঘটনার কথা জানিয়ে হাড়োয়া থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন রিয়াজুলের বাবা জামশেদ মোল্লা। কিন্তু পুলিশি তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় গত ১৫ অক্টোবর অপহরণকারীদের কথামতো বেঙ্গালুরুতে গিয়ে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে আনেন বাড়ির লোকেরাই।
ইতিমধ্যে তদন্তের ভার হাতে নেয় সিআইডি। তারা জানতে পারে, ওই অপহরণের পিছনে এক বাংলাদেশি যুবকের হাত রয়েছে। এর পরেই বেঙ্গালুরু পুলিশের সহযোগিতায় ১৭ অক্টোবর আনারুল মোল্লা নামে ওই বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
আনারুলকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চক্রের মূল পাণ্ডা হাফিজুল মোল্লা। বুধবার ভোরে হাড়োয়া থানার পুলিশ এবং সিআইডি বাড়িতে হানা দিয়ে হাফিজুলকে গ্রেফতার করে। আদালত তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগ, এর আগেও একই কায়দায় শিশুদের অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করেছে এই চক্রটি। হাফিজুলের লোকজন অপহরণ করত। বেঙ্গালুরুতে আনারুলের ডেরায় অপহৃতকে তোলা হত। বেশ কিছু মেয়েকেও কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। |
|
|
|
|
|