|
|
|
|
যুবকের দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে মাঠ থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাম ঘটনাটি নির্মল সামন্ত (৩৫)। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার সিদ্ধা বাজারের কাছে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, নির্মলবাবুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ কুকুর এনে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে এ দিন মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এই ঘটনায় নির্মলবাবুর ভাই থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার অশোক প্রসাদ বলেন, “ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।”
৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে সিদ্ধা গ্রামের বাসিন্দা নির্মলবাবু হাওড়ার লেদ কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী আশাদেবী বলেন, “বুধবার রাতে একজন ওকে ডাকতে এসেছিল। খাওয়ার পর রাত ১১টা নাগাদ ঠাকুর দেখতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। ওই রাতে তিনি বাড়িও ফেরেননি। কাছেই পুজো মণ্ডপে আছে ভেবে আমরাও আর খোঁজ করিনি।” পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নির্মলবাবুর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাঁর বাড়িতে এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ দিকে, দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে এলাকার লোকের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মদ-জুয়ার ঠেক বসছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। কাজয় হয়নি। সব জেনেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। কালীপুজোর রাতে মদ-জুয়ার আসর চলছিল রমরমিয়ে। প্রতিবেশীদের দাবি, ওই রাতে এলাকার দুষ্কৃতীরাই নির্মলবাবুকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। নির্মলবাবুর আত্মীয় জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, “কোনও শত্রুতার জেরেই ওকে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।” |
|
|
|
|
|