|
|
|
|
শিরষি থেকে উদ্ধার ৬০ কেজি বিস্ফোরক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একসঙ্গে ৬০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হল মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরষি থেকে। ওই বিস্ফোরক ল্যান্ডমাইন তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কে বা কারা এই বিস্ফোরক মজুত করেছিল, তাদের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল, তা স্পষ্ট নয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, “একটি সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তদন্ত চলছে।”
মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া, ধেড়ুয়া ও সংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি মাওবাদীদের গতিবিধি বেড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই সব এলাকায় পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। মাঝেমধ্যেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বুধবার পুলিশের কাছে খবর আসে, শিরষি বা তার আশপাশের কোনও এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছে। এর পরই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। শেষমেশ শিরষি ও কাননডিহির মাঝে একটি শুকনো খাল থেকে বড় পাত্র বোঝাই বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এক সময় শিরষি ছিল মাওবাদীদের ঘাঁটি। ফের সেই এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এ দিকে, গোয়ালতোড়ের পাটাশোলে গ্রামবাসীদের থেকে মোটা টাকা চাঁদা দাবি করার ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সনাতন মাহাতো জনগণের কমিটির জামিনপ্রাপ্ত নেতা গোপাল পাণ্ডের সঙ্গী। পাটাশোলেই তাঁর বাড়ি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপাল ও তাঁর সঙ্গীরা পাটাশোলের বাসিন্দাদের থেকে মোটা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। ওই রাতেই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার পথ অবরোধও হয়। ধৃত সনাতনকে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, “বুধবার রাতে পাটাশোল গ্রামে অভিযান চালিয়ে সনাতন মাহাতোকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে জেরা করে গোপাল পাণ্ডে-সহ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” সম্প্রতি গোয়ালতোড় শহর ও পাটাশোলে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারেও সনাতনকে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|