দলের ‘জেলা পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলন’-এর আগে তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির দুই কংগ্রেস সদস্য। পঞ্চায়েত সমিতিটি সিপিএমের দখলে রয়েছে। এখানে কংগ্রেসের সদস্যসংখ্যা ৬ এবং তৃণমূলের ৫। বিরোধী দলের মর্যাদা রয়েছে কংগ্রেসেরই। দুই কংগ্রেস সদস্যের আবেদন গৃহীত হলে বিরোধী দলের মর্যাদা তৃণমূলের কাছে চলে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওই সমিতির যে দুই কংগ্রেস সদস্য দল ছাড়তে চেয়েছেন তাঁরা হলেন সেলিনা বেগম এবং শেখ খয়রুল হক। সেলিনা বিরোধী দলনেতা। বুধবার দু’জনে উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসককের দফতরে দলত্যাগ করার ইচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। খয়রুল বলেন, “কংগ্রেসে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করা যাবে না। তার ফলেই আমি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই উন্নয়ন সম্ভব।” সেলিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, তিনি যেখান থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতা হারুন রশিদ বলেন, “সমাজবিরোধীরা সেলিনার পরিবারকে গ্রামছাড়া করলেও তিনি দল থেকে কোনও সাহায্য পাননি। তার ফলেই তিনি আমাদের দলে আসতে চেয়েছেন।”
মহকুমাশাসক দেবকুমার নন্দন বলেন, “আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির দুই সদস্য তাঁদের নিজস্ব দল ছাড়তে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। আমি চিঠি পেয়েছি।” আমতার কংগ্রেস নেতা দাশুরথী দীর্ঘাঙ্গী বলেন, “খয়রুল সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের ক্ষতি করছিলেন। এখন আবার তৃণমূলে যেতে চাইছেন। সেলিনাও দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত।”
আগামী ১ নভেম্বর উলুবেড়িয়ার রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত হবে কংগ্রেসের ‘জেলা পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলন’। তার আগে দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দলত্যাগ করলেও দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলে দাবি জেলা কংগ্রেস সভাপতি কাজি আব্দুল রেজ্জাকের। তাঁর দাবি, “ওদের দু’জনকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” আমতার তৃণমূল নেতা সেলিমুল আলম বলেন, “ওই দু’জন তৃণমূলে আসতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের জেলা নেতৃত্ব এবং সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুলতান আহমেদ।” |