গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে উদার জয়রাম, নজরদারি সিএজির
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্থ সমস্ত প্রকল্পের উপর আর্থিক নজরদারির দায়িত্ব পেতে চলেছে সিএজি। দু’দিনের অসম সফরে এসে এই ইঙ্গিতই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তাঁর বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই সিএজির সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছেন। মূলত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির রূপায়ণে বহু ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলি প্রকল্প রূপায়ণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয় না। আবার প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে ব্যয়ের অভিযোগও ভুরি ভুরি। রমেশের বক্তব্য, গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে তিনি উদার মনোভাব নেবেন। কিন্তু তা রূপায়ড়ের ব্যাপারে একই সঙ্গে কঠোর হবেন। তিনি বলেন, “এ বার থেকে গ্রামোন্নয়নের সব প্রকল্পকে সিএজি-র আওতায় আনা হচ্ছে। এ নিয়ে সিএজির সঙ্গে আমার তিনদফা বৈঠক হয়েছে। আমি প্রকল্প অনুমোদনে উদার, মূল্যায়নে কঠোরতম হতে চলেছি।”
গত কাল নগাঁও ভ্রমণ সেরে, আজ দিসপুরে মুখ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে রমেশ বৈঠক করেন। পরে তিনি জানান, অসমে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে আরও হাজার কিলোমিটার রাস্তা ও ৪০০ ছোট-বড় সেতুর অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, রাজ্যের বানভাসি সড়কের জন্য টাকা চেয়েছিলেন। সেই টাকাও মঞ্জুর করার আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান যোজনার অধীনে এতদিন রাজ্য সরকার মূলত সড়ক তৈরির উপরেই জোর দিয়েছিল। রমেশ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, আর সড়ক নয়। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প বাবদ পাওয়া অর্থে সেচ, বনসৃজন, বৃক্ষরোপণ, ভূমিসংরক্ষণের মতো নানা প্রকল্পের কাজ করতে হবে।”
ইন্দিরা আবাস যোজনায়, অসমের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ ৬৭ হাজার বাড়ি। আজকের আলোচনার পরে, ২০১১-১২ সালের জন্য তা বাড়িয়ে দু’লক্ষ করা হল। বিধবা ভাতার আওতায় এখন ৬৪ হাজার মানুষ রয়েছেন। নয়া লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ২৩ হাজার করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা পেতেন অসমের ২৪ হাজার মানুষ। তা বাড়িয়ে ৪০ হাজার করা হল। একই ভাবে, জাতীয় পরিবার উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ১০ হাজার চারশো পরিবারের জায়গায় ২০ হাজার পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পে রাজ্যের ২১৯টি ব্লকের, প্রতিটি দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের একজন করে মহিলাকে আত্মনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। অসমের পানীয় জলে আর্সেনিক ও ফ্লোরাইড সমস্যা নিয়ে চিন্তিত রমেশ মুখ্যমন্ত্রীকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অবিলম্বে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন। প্রকল্পরগুলির সুষ্ঠু রূপায়ণের জন্য রাজ্যের সব ক’টি পঞ্চায়েতে একজন করে উন্নয়ন অফিসার ও একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র নিয়োগের কথাও আজ রমেশ ঘোষণা করেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.