|
|
|
|
রেল প্রকল্পে লাভ রাজ্যের |
পূর্বের পণ্যবাহী করিডরের জন্য টাকা দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দীর্ঘ টালবাহানার পর পূর্বাঞ্চলের জন্য পণ্যবাহী রেল করিডরের উপর থেকে অনিশ্চয়তা কাটল। আজ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের জন্য ৯৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার মঞ্জুর করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য সক্রিয় ছিলেন। কারণ, এই করিডর হলে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের প্রভূত উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট কাটানোর জন্য মমতা যখন কেন্দ্রের কাছে ধারাবাহিক ভাবে দরবার করে চলেছেন, তখন এই ঘটনাকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মমতাকে আর্থিক সাহায্যের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিলেও কেন্দ্র কী ভাবে এই সাহায্য করতে পারে তার রূপরেখা এখনও তৈরি হয়নি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে কোনও পথনির্দেশ দিতে পারেননি।
কিন্তু পূর্বের রেল করিডরটির জন্য যাতে প্রয়োজনীয় অর্থসাহায্য পাওয়া যায়, সে জন্য সচেষ্ট ছিলেন প্রণববাবু। মূলত তাঁরই মধ্যস্থতায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই ঋণটি দ্রুত মঞ্জুর হল।
জাপান এগিয়ে আসায় পশ্চিমের পণ্যবাহী করিডর গড়া নিয়ে সমস্যা ছিল না। কিন্তু পূর্বের করিডরটি নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গিয়েছিল। যে হেতু এই করিডর গড়া গেলে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ তার সুফল পাবে তাই মমতা চেয়েছিলেন যত দ্রুত সম্ভব বিনিয়োগ আনতে। কিন্তু গোড়া থেকেই পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে অসাম্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল।
খোদ বাণিজ্য মন্ত্রকেরই বক্তব্য ছিল, দেশের পূর্বাংশে ব্যবসা নেই। ফলে সেখানে করিডরের সমান্তরাল শিল্পতালুক গড়ে উঠবে না। মমতা এই ‘দুয়োরানির’ মর্যাদা ঘোচানোর জন্য তৎপর হন। জাপান ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে দফায় বৈঠক করে তিনি এটাই বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, দেশের পূর্বাংশেও শিল্পতালুক গড়ে ওঠা সম্ভব। এখানে বিনিয়োগ করলে খালি হাতে ফিরতে হবে না।
অবশেষে সেই চেষ্টার ফল ফলল। রেল মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, এই করিডর ৬টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাবে। ডানকুনি, আসানসোল, গোমো, শোননগর, মুগলসরাই, কানপুর, খুরজা, হয়ে ১৮০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনটি পৌঁছে যাবে লুধিয়ানা। এটি বাস্তবায়িত হলে পূর্ব ভারত থেকে উত্তর
ভারতের দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থানের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠানো সহজ হয়ে যাবে। তেমনই আবার ইস্পাত, খাদ্য শস্য, সার, মার্বেল অতি দ্রুত অনেক কম খরচে পশ্চিম ও উত্তর ভারত থেকে পূর্ব ভারতে পাঠানো সহজ হবে। |
|
|
|
|
|