|
|
|
|
থিমের পাশাপাশি উজ্জ্বল পারিবারিক পুজোও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার মন্দিরের আদল থেকে বেতের মণ্ডপ। অন্ডাল, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জের সর্বজনীনের মণ্ডপে এ বারও দেখা মিলছে এমন সব থিমের। পাশাপাশি, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আলোর উৎসবে জমে উঠেছে বিভিন্ন পারিবারিক পুজো প্রাঙ্গণও।
রানিগঞ্জের স্টেশন বাজার সর্বজনীনের পুজো এ বার ৬১ বছরে পড়ল। বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। প্রতিমাও একই শৈলিতে গড়া। মণ্ডপের গায়ে ফুটে উঠেছে মহামায়ার দশ মহাবিদ্যা। অশোকপল্লি উন্নয়ন সমিতির পুজোর বয়স ৩৮ বছর। এ বার নেপালের একটি মন্দিরের অনুকরণে গড়া মণ্ডপে উপচে পড়ছে ভিড়।
অন্ডালের দক্ষিণ বাজারে চিত্তরঞ্জন ক্লাবের পুজো এ বার ৫৭ বছরে পা দিল। কাল্পনিক মন্দিরে অধিষ্ঠান দেবীর। রেল শহরে এটিই সব থেকে পুরনো সর্বজনীন পুজো। অন্ডাল পোস্ট অফিস মোড়ে রেজিমেন্ট অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজোয় এ বার গড়া হয়েছে বেতের তৈরি মণ্ডপ। অন্ডাল ট্রাফিক জিমন্যাসিয়াম সর্বজনীনের পুজোয় মূল আকর্ষণ চার দিনের মেলা। এনইউসি-র ৩৪ বছরের পুরনো পুজোয় এ বার মণ্ডপ সাজানো হয়েছে বিভিন্ন মডেল দিয়ে। অন্ডালের খাঁদরা গ্রামে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি তিনটি পুজো। সরকার বাড়ির পুজোয় শিলামূর্তি পূজিত হয়। স্বপ্নাদেশ পেয়েই পুজো শুরু হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যেরা। রীতি মেনে ছাদবিহীন মন্দিরেই সারা বছর পূজিত হন দেবী। গ্রামের চক্রবর্তী বাড়ির পুজো শতবর্ষ প্রাচীন। এ ছাড়া গ্রামের শ্মশানকালী পুজো করেন বাউরিরা।
জামুড়িয়ার বীরকুলটি গ্রামে কদমতলায় মুখোপাধ্যায় ও ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোয় প্রথম দু’টি পাঁঠা বলি হয় বর্ধমানের রাজা উদয়চাঁদের নামে। তার পরে এলাকার বাসিন্দারা মানসিক শোধ করেন। এ বার মোট ১২৫টি পাঁঠা বলি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পারিবারিক পুজোয় চার দিনের মেলা বসে। তাই পারিবারিক হলেও এই পুজো প্রাঙ্গণ এলাকাবাসীর কাছে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
এই গ্রামের মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো বলে জানা যায়। কথিত রয়েছে, স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেছিলেন পূর্বপুরুষ। গ্রামে অজয় নদের কদমখণ্ডি ঘাটে দেবীর পুজো শুরু করেছিলেন শ্যামাপদ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুর পরে গ্রামের বাসিন্দা অরূপ চট্টোপাধ্যায় হাল ধরেন। একটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি করে দেওয়া মন্দিরে নিত্যপুজোও হয়। ৩৪ বছরের এই পুজো এখন সর্বজনীনের চেহারা নিয়েছে। জামুড়িয়ার চিঁচুড়িয়া গ্রামে চক্রবর্তী পরিবারের পাতালি কালীপুজোয় ঘট পুজো হয়। এ ছাড়া চট্টোপাধ্যায়দের কাছারি কালীপুজো, সূত্রধর ও গোয়ালাদের পুজোও প্রায় দু’শো বছরের পুরনো। এই সব পুজো ঘিরেই উৎসবে মাতেন এলাকাবাসী। |
|
|
|
|
|