|
|
|
|
|
‘দায়সারা’ চিকিৎসায় মৃত্যু, নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
|
ফের ‘দায়সারা’ চিকিৎসা। এবং অভিযোগের আঙুল ফের উঠল কৃষ্ণনগরের হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জেলা সদর হাসপাতালের পর এ বার শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল।
সোমবার সকালে কৃষ্ণনগরের লাগোয়া ঝিটকেপোতার বাসিন্দা বছর ষোলোর এক কিশোরকে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রবল শ্বাসকষ্টে ছটফট করছিল মুসাফির শেখ নামে ওই কিশোর।
ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তার স্যালাইন এবং অক্সিজেন শুরু করা হয়। কিন্তু আধ ঘন্টার মধ্যেই মারা যায় ছেলেটি। তার পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেনের নল নাকে লাগানো হলেও তা চালুই করা হয়নি। ফলে প্রায় শ্বাসরূদ্ধ হয়ে মারা যায় ওই কিশোর। মুসাফিরের বাবা জানাল শেখ বলেন, “নল লাগানো হলেও ছেলে বার বারই বলছিল শ্বাস নিতে পারছে না। তাতেই আমাদের সন্দেহ হয়। আমি ছুটে গিয়ে নার্সকে বললেও তিনি গুরুত্ব দেননি।” ছটফট করতে করতে আধ ঘন্টার মধ্যেই মারা যায় ছেলেটি।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অজানা বড়াল অবশ্য অভিযোগ শুনে ওই কিশোরের শয্যার পাশে গিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য বলেন, “ওঁরা শোকদ্ধ। এই সময় বার বারা বুঝিয়েও পারা যায়নি ওঁদের। তবে আমি নিজে গিয়ে দেখেছি অক্সিজেন চালু ছিল। আসলে ওঁরা যে সময়ে ওই ছেলেটিকে এনেছিলেন তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ফুসফুসের অবস্থা একেবারেই ভাল ছিল না। দেখেই বোঝা গিয়েছিল ছেলেটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।’’ হাসপাতালের সুপার কাজল মণ্ডল বলেন, “এ ব্যাপারে কেই নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ করেননি। তবে কথাটা কানে আসায় আমি নিজেই খতিয়ে দেখছি ঠিক কী কারনে ছেলেটির মৃত্যু হল।”
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ক্ষেত্রে অন্তত চিকিৎসায় ‘গাফিলতি’র অভিযোগ তত ‘জোরালো’ নয়। কেন? তাঁদের ব্যাখ্যা, মুসাফির নামে ওই ছেলেটি পোলিও আক্রান্ত ছিল। অত্যন্ত শীর্ণকায় ছেলেটি গত কয়েক দিন ধরেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। নিউমোনিয়ায় তার ফুসফুসের অবস্থা যারপরনাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা করানো হয়নি। হাসপাতালে যখন তাকে আনা হয়েছিল তখনই তার অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। অক্সিজেন দেওয়া সত্ত্বেও বিশেষ কিছু করার ছিল না চিকিৎসকদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। |
|
|
|
|
|