কোথাও সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের দৃশ্য। রয়েছে লছমনঝোলা ঘুরে দেখার হাতছানি। বালুর ভাস্কর্য। আলোর উৎসবে মেতে উঠেছে গেটওয়ে অব ডুয়ার্স ময়নাগুড়ি। দীপাবলির রাতে ডুয়ার্সের ওই প্রাচীন জনপদে পৌছে মনে হতেই পারে আলোর দরিয়ায় ভেসে চলেছেন। নতুন বাজারের আরআরএ পুজো মণ্ডপ থেকে জাগরণী। সিনেমা হল রোড, পার্ক রোড, ফুটবল ময়দান। উথালপাথাল আলোর স্রোতে গোটা শহর ঝলমলে। সেই সঙ্গে বাহারি মণ্ডপ ও রকমারি বিষয়ের সজ্জা। অচেনা লাগবে সার্ক রোড। সাগরদ্বীপ ক্লাবের পুজো আয়োজনের ছোঁয়ায় তা পাল্টে গিয়েছে। দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ার আর্তি এখানে। ক্যানভাসে আঁকা ছবি বা খোদাই করা দৃশ্যপট নয়। আলোতে নানা রঙের কোলাজ। নিকষ আঁধার রাতের ক্যানভাসে স্পষ্ট বিষয়, কেমন করে আমাদের পৃথিবী দূষণের দাপটে তিলেতিলে ক্ষয়ে যাচ্ছে। দুষিত নদী। বাতাসে বিষ। মাটিতে পা রাখবেন উপায় নেই। সবুজ শাক-সবজি থেকে মাছ সবেতেই দূষণের কামড়। কেন এমন হল! আলোর স্রোতে ভেসে কখন যে উত্তর ভারতের শিব মন্দিরের আদলে তৈরি ৪৫ ফুট উঁচু মন্দির প্রাঙ্গণে মহাশক্তির আরাধনায় মগ্ন রামকৃষ্ণ। দূর থেকে ওই মন্দির শ্বেত পাথরের তৈরি বলে ভুল হতে পারে। পুজো কমিটির কর্তা নীলমণি সাহা বলেন, “মন্দিরের গায়ে ফুটিয়ে তোলা প্রতিটি মডেল ভাল লাগবে।” দূষণের ঘোর কাটিয়ে সুভাষনগরের পথে এগিয়ে গেলে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনাবলি মন টানবে। ওই পুজোর আয়োজক সুভাষনগর সর্বজনীন শ্যামা পুজো কমিটি। প্লাই বোর্ডের উপরে রঙের খেলায় শিল্পী ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ফুটিয়ে তুলেছেন। পুজো কমিটির সম্পাদক সুব্রত সরকার বলেন, “আলোর উৎসবে যেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপন্ন মানুষদের কথা ভুলে না-যাই সেই বার্তা দিতে চেয়েছি আমরা।” ফুটবল ময়দানে আয়োজিত ‘ইস্টার্ন ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের’ এ বারের পুজো মণ্ডপ লছমনঝোলার আদলে তৈরি। রয়েছে চন্দননগরের আলো। কিছু সময়ের জন্য মিলন মেলায় সময় কাটাতে মন্দ লাগবে না। ওই পুজো থেকে ট্রাফিক মোড়ের দিকে এগিয়ে ‘অগ্রদূত সঙ্ঘের’ সবুজ আলোর ছাদ। সমুদ্র সৈকতের বালুর ভাস্কর্যের আদলের শিল্পকলা অবাক করবে। সিনেমাহল রোডে মিলন সঙ্ঘের পুজোর আয়োজক একদল মহিলা। শহরের জমক ছেড়ে পুরনো দিনে ফিরতে চাইলে পেটকাটির কালীপুজো। বাসিন্দারা কষ্টিপাথরের তৈরি প্রাচীন মূর্তিকে মহাশক্তির দেবী রূপে পুজো করেন। গ্রামীণ পরিবেশে রয়েছে মেলার আয়োজন। দীপাবলির বিকেলে বাঁশ বাগানে ঘেরা জগৎ মন্দ লাগবে না। |