বিজনবাড়ি সেতু দুর্ঘটনা
পাহাড়ে মানস, সাহায্য দেবে সিকিম সরকারও
বিজনবাড়ির সেতু দুর্ঘটনার পরদিনই পাহাড়ে পৌঁছে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের পরেই দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সোমবার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দার্জিলিঙে পৌঁছন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের সেচ ও ক্ষুদ্র কুটিরশিল্প মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। পাশাপাশি, দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ যশোবন্ত সিংহও সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংও মৃতদের পরিবারপিছু এক লক্ষ টাকা এবং আহতদের পঁচিশ হাজার টাকা সাহায্য করা হবে বলেও ঘোষণা করেন।
দার্জিলিং সদর হাসপাতালে মানস ভুঁইয়া। ছবি: রবিন রাই
সম্প্রতি বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরদিনই সিকিমে ছুটে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন চামলিংয়ের সঙ্গে বাগডোগরা বিমানবন্দরে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই সৌজন্য বিনিময়ের পরে কলকাতার বিমান ধরতে চলে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই সিকিমের তরফে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন চামলিং।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, দার্জিলিঙের দুর্ঘটনাগ্রস্তদের ব্যাপারে সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য কংগ্রেস হাইকমান্ড মানসবাবুকে নির্দেশ দেয়। তার পরেই এ দিন সকালে মানসবাবু এনজেপি প্রথমে পৌঁছে যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা দেন। রাস্তায় পাঙ্খাবাড়ির কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। কিছু ক্ষণ কথাবার্তার পরে মুখ্যমন্ত্রী বাগডোগরার দিকে রওনা হন। মানসবাবু দার্জিলিং হাসপাতালে গিয়ে আহতদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুনীল তিরকে, দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস (সমতল) সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, পাহাড়ের কংগ্রেস নেতা কে বি ছেত্রী-সহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের সঙ্গে মানসবাবু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
পাঙ্খাবাড়িতে এক চায়ের দোকানে মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে রয়েছেন
দীনেশ ত্রিবেদী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মানস ভুঁইয়া। —নিজস্ব চিত্র
সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে মানসবাবু সাংবাদিকদের বলেন, “এআইসিসি-র পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক শাকিল আহমেদের নির্দেশে এসেছি। এখানকার পরিস্থিতি দেখে টেলিফোনেই কিছুটা রিপোর্ট দিয়েছি। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে বিশদে লিখিত রিপোর্ট দেব। তার পরে এআইসিসি যেমন নির্দেশ দেবে, সেই মতো পদক্ষেপ করব।” পাশাপাশি, তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে জখমদের চিকিৎসা এবং মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কাজ খুব ভাল ভাবেই হচ্ছে। তাঁর কথায়, “যে ভাবে চিকিৎসক, পুলিশ-প্রশাসন-দমকল ও বাসিন্দারা একযোগে কাজ করছেন তা দৃষ্টান্তমূলক।” তবে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে একটি এক্স রে যন্ত্র বিকল। সে কথা জানিয়ে মানসবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দেখছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.