শনি ও রবিবার বিরতির পর সোমবার ফিরে এল লোডশেডিং। এ দিন রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল ৩৫০ মেগাওয়াট। তবে বিদ্যুৎ কর্তারা বেশি উদ্বিগ্ন মঙ্গলবারের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে। কেন না, প্রতি বছরই দেখা যায়, কালী পুজোর আগের সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চাহিদা বিপুল বেড়ে যায়। সেই চাহিদা কি মেটানো যাবে?
বাতাসে হিমের পরশ লাগায় বিদ্যুৎ চাহিদা কমেছে। কিন্তু মঙ্গলবার থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপে পুরোদমে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। অফিস বা কল কারখানায় ছুটি না থাকায় বিদু্যুতের চাহিদাও বেশি থাকবে। এই অবস্থায় সিইএসসি ও বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এলাকা মিলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোট চাহিদা ছয় হাজার মেগাওয়াট ছুঁতে পারে বলে হিসেব করেছেন বিদ্যুৎ কর্তারা। এর মধ্যে সিইএসসি এলাকায় চাহিদা হতে পারে ১৭০০ মেগাওয়াট, বাকি রাজ্যে ৪৩০০ মেগাওয়াট। কিন্তু এই চাহিদা মেটানো নিয়েই উদ্বেগে বিদ্যুৎ কর্তারা।
উদ্বেগের প্রধান কারণ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের বিকল দু’টি ইউনিট। সাঁওতালডিহিতে একটি ২৫০ মেগাওয়াটের ইউনিট খারাপ হয়েছে গত সপ্তাহেই, আর কোলাঘাটের ২১০ মেগাওয়াটের ইউনিটটির বয়লার টিউব ফুটো হয়ে যাওয়ায় মোট ৪৬০ মেগাওয়াটের উৎপাদন ক্ষমতা বসে গিয়েছে। কোনও ইউনিটই মঙ্গলবারের মধ্যে সারিয়ে ফেলার নিশ্চয়তা মেলেনি। ফলে নিগমের কাছ থেকে ২৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা নেই। কয়লার সরবরাহ অবশ্য একই রকম। কোনও মতে প্রতি দিনের চাহিদাটুকু মিটে যাচ্ছে। কিন্তু বাড়তি কয়লার ভাঁড়ার আর একেবারেই অবশিষ্ট নেই। এক দিন কম কয়লা এলেই উৎপাদন কমিয়ে দিতে হবে। এই অবস্থায় অন্য রাজ্যে থেকে বিদ্যুৎ কেনার চেষ্টা করা ছাড়া উপায় নেই। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রোজ যাতে বাড়তি ১৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যায়, সে জন্য ডিভিসিকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু ডিভিসি-র উৎপাদনও বিশেষ ভাল ছিল না সোমবার। এ ছাড়া, অন্য রাজ্য থেকে কতটা বিদ্যুৎ কেনা দরকার, তা মঙ্গলবারেই স্থির করা হবে। বিদ্যুৎ কর্তারা অবশ্য ভরসা দিচ্ছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ঘাটতি হলেও তা ঘণ্টা তিনেকের বেশি স্থায়ী হবে না। |