শস্য সংরক্ষণে চটের বস্তার পূর্ণ ব্যবহারে উদ্যোগী রাজ্য
ত দিনে কেন্দ্রীয় আইন মেনে খাদ্যশস্য মজুতের ক্ষেত্রে চটের বস্তার ব্যবহার একশো শতাংশ নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবং মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ‘এগিয়ে যাওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রীর কথায়, “এ রাজ্যে যাবতীয় খাদ্যশস্যের ১০০ শতাংশই চটের বস্তায় ভরার যে কেন্দ্রীয় আইন, তার সঙ্গে আমাদের নীতিগত কোনও বিরোধ নেই। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।” খাদ্যশস্যে চটের বস্তার পূর্ণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে কেন্দ্র প্রায় আড়াই দশক আগে আইন করেছিল। পশ্চিমবঙ্গ দেশের পাটশিল্পের কেন্দ্রভূমি হওয়া সত্ত্বেও সে আইন এত দিনেও এ রাজ্যে কেন কার্যকর হয়নি, রাজ্যের নতুন সরকার তা খতিয়ে দেখতে চায়।
কেন হয়নি?
বিগত বামফ্রন্ট আমলের খাদ্যমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কাছে এর উত্তর নেই। আর চটকলের শ্রমিক-সমস্যায় মধ্যস্থতা করতে গিয়ে চটশিল্পের প্রতি কেন্দ্রের ‘বিমাতৃসুলভ মনোভাব’ নিয়ে বারেবারে সরব হয়েছেন যিনি, বাম জমানার সেই শ্রমমন্ত্রী অনাদি সাহুও কারণটা জানেন না। পরেশবাবু ও অনাদিবাবু দু’জনেরই বক্তব্য, “কেন যে আইনটি কার্যকর করা হল না, তা বলতে পারছি না। এত দিন বিষয়টা তেমন ভাবে আমাদের নজরেই কেউ আনেনি!”
রাজ্যে এখন খাদ্যশস্য কী ধরনের বস্তায় মজুত করা হয়? খাদ্য দফতরের শস্য সংগ্রহ বিভাগের অধিকর্তা জয়দেব জানা জানাচ্ছেন, “রাজ্য সরকার যে চাল সংগ্রহ করে, তাতে ১০০ শতাংশই চটের বস্তা ব্যবহার করা হয়।”
অধিকর্তার তথ্যের সঙ্গে অবশ্য চালকল-মালিকদের একাংশের দেওয়া তথ্যের ফারাক থেকে যাচ্ছে। ওই সব চালকল-মালিকের হিসেবে, অনেক মিল অন্তত ২৫% ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করে। কারণ, তার দাম কম। ‘বেঙ্গল রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি দেবু মণ্ডল অবশ্য এক ধাপ এগিয়ে জানাচ্ছেন, “সরকারি সরবরাহের বাইরে চালকলগুলো যত চাল খোলাবাজারে বিক্রি করে, তার ৯০ শতাংশই প্লাস্টিকের বস্তায় দেওয়া হয়।”
চটশিল্পের কর্ণধারেরা কী বলেন?
চটকল-মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান মণীশ পোদ্দারের অভিজ্ঞতা, “চটকল থেকে বস্তা কেনে কেন্দ্রের ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ সাপ্লাইজ অ্যান্ড ডিসপোজালস। ওই কাজে সমন্বয়সাধন করা রাজ্য সরকারগুলোর দায়িত্ব। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ। এখানে কয়েকটা চালকল অল্প কিছু চটের বস্তা কিনলেও প্লাস্টিকের বস্তাই বেশি ব্যবহার হয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.