টুকরো খবর
ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার, সন্দেহ খুন
আসানসোলের এক নিখোঁজ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হল বাঁকুড়ায়।রবিবার রাতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মেজিয়া থানার তিওয়ারিডাঙা এলাকার একটি পুকুরের পাড় থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ী রমেশ গণের (৩৫) বাড়ি আসানসোল শহরের মহীশিলা কলোনির ১ নম্বর সঙ্ঘতিনগরে। শহরে ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা ছিল রমেশবাবুর। শনিবার থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগও আছে। তাঁকে খুন করে ওই পুকুরপাড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে রমেশবাবু ব্যবসার টাকা আদায় করতে নিজের মোটরবাইকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রমেশবাবুর দাদা বাসু গণ সোমবার হাসপাতাল চত্বরে মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “সেই থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ভাই। রাত ১২টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। আশপাশের এলাকায়, ওর বন্ধুবান্ধবদের কাছে খোঁজখবর নিই। কিন্তু কেউ কোনও হদিস দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আসানসোল দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।” রমেশবাবুর মোটরবাইকটি রবিবার বিকালে আসানসোল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ মেজিয়া থানা থেকে ফোন যায় মৃতের বাড়িতে। বাসুবাবু-সহ বাড়ির কয়েক জন সেখানে গিয়ে রমেশবাবুর দেহ শনাক্ত করেন। বাসুবাবুর দাবি, “ভাইয়ের সেই অর্থে কোনও শত্রু ছিল না। পাড়ার সবাই তাঁকে পছন্দ করতেন। তবে ওর ব্যবসা খুব ভাল চলছিল। ব্যবসায়িক আক্রোশ কারও ছিল কি না, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমরা ওর খুনিদের শাস্তি চাই।”

পুরুলিয়া স্টেশনে মৃত্যু
প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝখানে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। তাঁর নাম লক্ষ্মীকান্ত হাজাম (৪১)। তিনি আদ্রা রেলশহরের বেনিয়াশোল এলাকার বাসিন্দা। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া স্টেশনে। মৃত ব্যক্তির ভাই রমাকান্ত হাজাম বলেন, “দাদা একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। কাজে প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে হয়। রবিবার দুর্গ-দানাপুর (দক্ষিণ বিহার এক্সপ্রেস) ধরে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। নামার সময় কোনও ভাবে তিনি ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফাঁকা অংশে ঢুকে যান। তাঁর মোবাইল লাইনে পড়ে গিয়েছিল। সেটা তুলতে গিয়েই পড়ে যান কি না, তা আমরা জানি না।” রেল সূত্রের খবর, ওই অবস্থা দেখে যাত্রীরা হইহই করে ওঠেন। ছুটে আসেন পুরুলিয়ার স্টেশন ম্যানেজার শ্যামপ্রসাদ মজুমদার, ট্রেনের গার্ড ও রেলপুলিশ। স্টেশন ম্যানেজার জানিয়েছেন, কোমর থেকে নীচের অংশ ওই পাঁকা অংশে আটকে পড়েছিল। ট্রেন তখন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল। এমনভাবে চাকার আর স্প্রিংয়ের ফাঁকে তিনি আটকে গিয়েছিলেন যে বের করা যাচ্ছিল না। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় উদ্ধার করা গেলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, তা জানতে দেহ পুরুলিয়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

ট্রেলারের চাকায় পিষ্ট
চলন্ত মোটরবাইক থেকে রাস্তায় পড়ে গিয়ে ট্রেলারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সোনামণি গরাঁই (২৫)। বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার মাগুড়িয়া গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া-বোকারো ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে মফস্সল থানার সৈনিক স্কুলের অদূরে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন সোনামণি তাঁর স্বামী পিন্টু গরাঁইয়ের সঙ্গে বাইকে করে জয়পুর থানার চেতনডি গ্রামে নিজের বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন। উল্টোদিক থেকে আসা একটি বাইকের হ্যান্ডেলের সঙ্গে পিন্টুর বাইকের হ্যান্ডেলের ধাক্কা লাগে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই ছিটকে পড়েন বাইক থেকে। পিন্টু রাস্তার বাইরে পড়লেও সোনামণি রাস্তার উপরে পড়ে যান। তখনই পুরুলিয়ার দিক থেকে চাষমোড়গামী একটি ট্রেলার তাঁকে পিষে দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পিন্টুকে আহত অবস্থায় পুরুলিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চালক গ্রেফতার হয়েছেন।

তালা খোলা হল সমবায় সমিতির
অবশেষে পাঁচ দিন পরে তালা খুলল রানিবাঁধ ব্লকের বাগসন্দা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির কার্যালয়ের। ওই সমবায় সমিতির কাজে বেনিয়ম হয়েছে এবং ‘চক্রান্ত করে’ পাশের বিক্রমডি গ্রামে সমিতির কার্যালয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে গত বুধবার অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সোমবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান দেবেন্দ্রনাথ মাহাতো ও সমবায়ের চক্র পরিদর্শক পুষ্পক দে বৈঠক করে অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং ২১ দিনের মধ্যে সাধারণ সভা ডাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তার পরেই তালা খোলা হয়। দেবেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “সদস্যদের মতামত নিয়েই সমবায় পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শীঘ্রই সভা ডাকা হবে।” সমবায় সমিতির দরজায় তালা ঝোলানোর নেতৃত্বে থাকা এলাকার তৃণমূল নেতা অরুণকুমার চেল বলেন, “আমাদের দাবিমতো শীঘ্রই সভা ডাকার আশ্বাস দিয়েছেন সমবায় কর্তৃপক্ষ। তাই তালা খোলা হয়েছে।” পুষ্পকবাবু বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে আপাতত সমস্যা মিটেছে। সমবায়ে কাজও শুরু হয়েছে। সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।”

সিটুর অবস্থান-বিক্ষোভ
পুরুলিয়া স্টেশন লাগোয়া মাল-গুদাম অন্যত্র সরানো চলবে না, এই দাবিতে সোমবার জেলাশাসকের দফতরের বাইরের রাস্তায় অবস্থান-বিক্ষোভ ও সভা করলেন সিটু অনুমোদিত পুরুলিয়া জেলা মুটিয়া-মজদুর ইউনিয়নের কর্মী-সমর্থকেরা। সংগঠনের সম্পাদক নফিল আনসারি বলেন, “স্টেশন লাগোয়া ওই গুদামে প্রত্যক্ষ ভাবে পাঁচশো শ্রমিক কাজ করেন। তার উপরে পণ্য পরিহবণ কাজে যুক্ত শ্রমিকেরাও রয়েছেন। এই গুদামকে ঘিরে এলাকায় কয়েকটি বস্তি গড়ে উঠেছে। বহু লোকের জীবিকা টিঁকে আছে এই গুদামটিকে ঘিরে। আমরা শুনেছি, রেল-কর্তৃপক্ষ গুদামটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারেন। গুদাম যাতে এখানেই থাকে, তার জন্যই আমরা এই প্রতিবাদ সভা করলাম।” সভায় বক্তৃতা দেন সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া, পুরুলিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক নিখিল মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন পুরপ্রধান কৃষ্ণপদ বিশ্বাস প্রমুখ।

পুরনো দামেই বিকোচ্ছে প্রদীপ
ছবি: সুজিত মাহাতো
প্রদীপ ছাড়া দীপাবলির কথা ভাবাই যায় না। আলোর উৎসবের এই উপকরণটিকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে দিনরাত এক করে ফেলছেন পুরুলিয়ার মফসস্ল থানার কোটলই গ্রামের বাসিন্দারা। পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে কংসাবতী নদীর পাশে এই ছোট জনপদের অবস্থান। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মাটির জিনিস তৈরি করে বিক্রি করেন। প্রদীপকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে প্রত্যেক বছর কালীপুজোর আগে পুরুলিয়া শহরের বড়হাটের মোড়ে পসরা নিয়ে বসেন। কোটলই গ্রাম ছাড়া কাটিন ও অন্যান্য এলাকার মৃৎশিল্পীরা পুতুল, প্রদীপ নিয়ে হাটে আসেন। কোটলইয়ের বাসিন্দা তীর্থঙ্কর কুমারের কথায়, “আমি অনেক দিন ব্যবসা করছি। প্রদীপের দাম একই রয়েছে। কাঁচামালের দাম বেড়েছে, প্রদীপ তৈরির খরচও বেড়েছে। কিন্তু সকলে পুরনো দামে কিনতে চাইছেন।” আর এক বিক্রেতা শ্রীমতি কুমারের কথায়, “আমরা তো শিল্পী। চাই ঘরে ঘরে আলো জ্বলুক। তাই কষ্ট হলেও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই।” সোমবার হাতে দেখা গেল পুরুলিয়া মফসস্ল থানার ডুরকু গ্রামের বাসিন্দা সুবীর মাহাতো মাত্র কয়েকটা প্রদীপ কিনেছেন। আর কিনবেন না জানতে চাওয়ায় তাঁর জবাব, “আলো জ্বালাব!”

নিখোঁজ হকার
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। খাতড়ার বনকাটি গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ নায়েকের কোনও খোঁজ না পেয়ে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তাঁর স্ত্রী সাগরিকাদেবী। পরিবার সূত্রের খবর, বছর চল্লিশের বিশ্বনাথবাবু পেশায় হকার। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও ১১ বছরের ছেলে ও ৯ বছরের মেয়ে আছে। সাগরিকাদেবী বলেন, “রবিবার ভোরে আমার স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান কাউকে কিছু না জানিয়ে। আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করেও কোনও খবর মেলেনি। শেষে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেছি।” পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত বিশ্বনাথবাবুর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বন্দি-মৃত্যু, তদন্ত দাবি
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক বন্দির মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করে পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিলেন রিনা মজুমদার নামে বর্ধমানের রানিগঞ্জের এক সমাজকর্মী। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৪ অক্টোবর বাঁকুড়া সদর থানার কেঞ্জাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিলোচন মণ্ডলকে ‘মদ্যপ’ অবস্থায় অশালীন আচরণ করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ৭ তারিখ আদালতে হাজির করানো হলে জামিনের টাকা জোগাড় করতে না পারায় রবিলোচনের জেলহাজত হয়। পুলিশের দাবি, ওই রাতেই জেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁরে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন তাঁর মৃত্যু হয়। বন্দি-মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হয়েছেন সদর থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর। রিনাদেবীর দাবি, “ঘটনার যথাযথ তদন্ত চাই। দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তিও দিতে হবে।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণবকুমার বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। কোনও পুলিশকর্মী দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ শাস্তি পাবেন।”

ধৃত ৪ তৃণমূলকর্মী
রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ইন্দাস থেকে ফের চার তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বাপি মণ্ডল, শেখ হালিম, শেখ মনু ও শেখ সুরজ ইন্দাসের রোল গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁদের ধরা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ জুলাই রোল গ্রামে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের লোকজনই হামলা চালিয়ে তাদের দলের কর্মীদের মারধর করেছিল বলে অভিযোগ দায়ের করে সিপিএম। ওই ঘটনাতেই এই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সিপিএম ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করেছে। সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দুষ্কৃতী ধৃত পাড়ায়
চোরাই মোটরবাইক সমেত পুলিশের হাতে ধরা পড়ল এক দুষ্কৃতী। ধৃত স্বপন দাস পাড়া থানার রাঙামাটি গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সোমবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলে পুলিশ। স্বপনের ১৪ দিন জেল হাজত হয়। পুলিশের দাবি, পাড়া এলাকারই বাসিন্দা, দাগি অপরাধী বারুদ আনসারির অন্যতম সহযোগী এই স্বপন। তার নামে পাড়া-সহ বিভিন্ন থানায় অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.