স্কুলের সামনের খেলার মাঠে চলছে লাঙল। ছড়ানো হচ্ছে লাউ, কুমড়োর বীজ। তাদের খেলার মাঠ এ ভাবে ‘দখল’ হয়ে গিয়েছে অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে সোমবার ক্লাস বয়কট করল তালড্যাংরার রাজপুর হাইমাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা।
ছাত্রছাত্রী ও হাইমাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১৯৭৩ সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই লাগোয়া মাঠটি খেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি মৈনুদ্দিন খান নামে এক ব্যক্তি ওই মাঠ তাঁর বলে দাবি করে লাঙল চালিয়ে বীজ ছড়াচ্ছেন। এর ফলে শিক্ষা ও খেলাধুলোর পরিবেশ নষ্ট হবে দাবি করে হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, “মাদ্রাসার জন্মলগ্ন থেকেই মাঠটি মাদ্রাসার নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। সেই সময় থেকে ওই মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি হয় অন্য সব খেলাও। কিন্তু কলাবাগান গ্রামের বাসিন্দা মৈনুদ্দিন লাঙল চালাতে শুরু করায় মাঠে আর খেলাধুলো করতে পারছে না মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। এরই প্রতিবাদে এ দিন তারা দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লাস বয়কট করে। আমরা বুঝিয়ে ওদের ক্লাসে ফের পাঠাই।”
তালড্যাংরার বিডিও সুমন দাশগুপ্ত বলেন, “সকালে খবর পেয়ে অশান্তি যাতে না ছড়ায়, তা পুলিশকে দেখতে বলেছি” বাঁকুড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূর্ণচন্দ্র জানা অবশ্য বলেন, “ঘটনাটি জানা নেই। খোঁজ নেব।” অন্য দিকে, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি নস্যাৎ করে মৈনুদ্দিন খান ও তাঁর ভাই সায়ের আলি খানের দাবি, “আমাদের বাবা আনোয়ার আলি খান ১৯৭৯ সালে জায়গাটি কিনেছিলেন। ওই জমির রেকর্ড ও কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। জোর করে দখলে রাখা জমি এখন আমরা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। সেখানে লাউ-কুমড়োর চাষ করব।” তবে যেহেতু বিতর্কটির সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনিক স্তরে কোনও রকম আলোচনা করতে তাঁদের আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন ওই দুই ভাই। |