কালীপুজোকে ঘিরে প্রতিযোগিতা
দুর্গা পুজোর মতোই কালী পুজোকে ঘিরে মেতে থাকেন সাঁইথিয়াবাসী। মণ্ডপ সাজানো থেকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয় শহরের অধিকাংশ বড় কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের মধ্যে। বড় কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাউরিদের প্রতিষ্ঠিত পুজো। এই পুজো সাঁইথিয়ার প্রথম কালী পুজো। শহরের সর্বত্র পুজো হলেও এখনও বাউরি সম্প্রদায় বড় কালীপুজো করেন।
ওই পরিবারের সদস্য প্রশান্ত বাউরি বলেন, “বেশ কয়েক পুরুষ আগে আমাদের পরিবারের সদস্যরা জমিদারের পাহারাদারের কাজ করতে সাঁইথিয়া এসেছিলেন। সে সময়ে এখানে কোনও পুজো ছিল না। কালী পুজোর সময়ে বাড়ি যাওয়া নিয়ে আমাদের সমস্যা হত। জমিদার বা মুনিবদের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত গ্রাম থেকে পাট্টা নিয়ে এসে জমিদারদের দেওয়া জায়গায় পুজো শুরু হয়।” তিনি জানান, প্রাচীন এই পুজোতে শহরের এমনকি এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দা যোগ দেন। পুজোর পরের দিন কয়েক হাজার ভক্তকে পাত পেড়ে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়।
ঐক্যসম্মিলনীর মাতৃমূর্তি। ছবি: অনির্বাণ সেন।
অন্য দিকে, সাঁইথিয়ার ক্লাব পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম রুপোলী, ঐক্যসম্মিলনী, বীণাপানি, জুয়েলস, ইয়ংস্টার, সন্ধানী, ছয়েরপল্লী। রুপোলী ক্লাবের সম্পাদক উত্তম সিং বলেন, “আমাদের পুজোর বয়স ৬৮। পুরনো ঐতিহ্য মেনে জাঁকজমক ভাবে পুজো হয়। এ বারের পুজোর থিম জয়পুরের রাজবাড়ি। পুজো মণ্ডপে কাটোয়ার আলোকশিল্পীদের পরিচালনায় দেখানো হবে চামুণ্ডাকালীর ইতিবৃত্তান্ত।” ঐক্যসম্মেলনী ক্লাবের সম্পাদকসদানন্দ রায় বলেন, “বহু পুরনো পুজো। শ্মশানকালী রূপেই মা এখানে পূজিত হন। কয়েক বছর হল অষ্টধাতুর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। নিয়মিত ত্রিসন্ধ্যা পুজো হয়। রয়েছে বলি প্রথা। তবে প্রতিমা বিসর্জন করা হয় না। আলোকসজ্জাও দেখার মতো।” বীণাপানি ক্লাবের দুই কর্মকর্তা মদন ঘোষ, বিশ্বনাথ চক্রবর্তীরা জানান, তাঁদের পুজো ৪০ বছরে পড়ল। আগে অস্থায়ী মণ্ডপে পুজো হত। ওই জায়গা স্থানীয় ঘোষ পরিবারের। পরে ওই পরিবার কালী মন্দিরের জন্য জায়গাটি দান করেন। ১৫ বছর হল সেখানে স্থায়ী মন্দির করা হয়েছে। মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ১৫ ফুট উচ্চতার শীলামূর্তি। পুজোর আয়োজনে পিছিয়ে নেই জুয়েল, ছয়েরপল্লী ক্লাবের কর্মকর্তারা। জুয়েলস ক্লাবের দুই কর্মকর্তা সুমন দাস, রাজু চক্রবর্তীদের কথায়, “এ বার রাজস্থানের আদলে প্রতিমা কুমারটুলি থেকে আনা হচ্ছে। পুজোর পরের দিন রথতলাপাড়ার মাঠে বহিরাগত ও স্থানীয় শিল্পীরা বিচিত্রানুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। পুজোর চার দিনের দিন জাঁকজমক ভাবে বিসর্জন করা হবে।” ছয়ের পল্লীর লাল্টু ঘোষ, মানিক সাহারা বলেন, “প্রায় ৫০ বছর আগে ক্লাবের সদস্য স্বপন অঙ্কুরের বাবা পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন।” যাই হোক, দুর্গাপুজোর মতোই কালী পুজোর প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে সাঁইথিয়ার ক্লাবগুলি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.