কালীপুজোর চাঁদা আদায় নিয়ে গ্রামে ঢুকে গুলি ছুড়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এক দুষ্কৃতী ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ চৌকি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার চারঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। যদিও সোমবার সকালে ফের একই দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চারঘাট এলাকায় কিছুদিন ধরেই শ্যামল দাস ওরফে ট্যারা শ্যামল দলবল নিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মাঝে কিছুদিন পুলিশের তাড়া খেয়ে সে অন্যত্র পালিয়েছিল। কিছুদিন আগে সে ফের এলাকায় ফিরে জুলুমবাজি শুরু করে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পুলিশকে বার বার অভিযোগ করা হলেও শ্যামলকে গ্রেফতার করা হয়নি। রবিবার রাতে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে কাহারপাড়ার একটি ক্লাবের ছেলেরা গরু পাচারকারীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। পরে রাত ৯টা নাগাদ শ্যামল ও তার দলবল পাচারকারীদের পক্ষ নিয়ে ওই ক্লাবে চড়াও হয়। অভিযোগ, ভয় দেখাতে ৩-৪ রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। ক্লাবের কয়েকজন সদস্য রুখে দাঁড়ালে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানাজানি হলে এলাকা মানুষ সবাই মিলে রুখে দাঁড়ালে শ্যামল ও দলবল পালিয়ে যায়। যেখানে ঘটনা ঘটে তার কাছেই পুলিশ চৌকি। গুলিচালনা ও মারধরের সময় পুলিশ না আসায় স্থানীয় বাসিন্দারা এর পরে পুলিশ চৌকি ঘেরাও করেন। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিও জানান তাঁরা। তদন্তে নেমে পুলিশ এক কিশোরকে আটক করলে তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। ওই কিশোরকে নির্দোষ দাবি করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হবে। স্বরূপনগর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলোক দাস বলেন, “দুষ্কৃতী গ্রেফতারের পরিবর্তে একজন কিশোরকে আটক করায় বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। আমরা চাই পুলিশ অবিলম্বে ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক।” এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ-প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলিতে নিয়ে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। |