হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো যেন আবার ফিরে এসেছে সাদিখাঁড়দেয়ার গ্রামে। ফুটবলের হাত ধরেই ফের মেতে উঠেছে জলঙ্গির এই গ্রাম। একটা সময় ছিল, যখন বিকেল হতে না হতেই গ্রামের ফুটবল মাঠে ভিড় জমাতো কচিকাঁচা থেকে গ্রামের খেলোয়াড়রা। তবে এখন আর সেই রমরমা নেই। প্রায় দেড় দশক ধরে মহকুমার এই ফুটবল মাঠে এক রকম বন্ধই হয়েছে খেলোয়াড়দের আনাগোনা।
এলাকার বাসিন্দারা জানালেন, ওই গ্রামের দু’টো বড় ক্লাবের মধ্যে ঝামেলা বাধে। শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপানউতরও। সেই থেকেই গ্রামে সে ভাবে আর ফুটবল খেলতে আসে না কেউই। তবে গ্রামের পুরনো রেওয়াজ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে গ্রামের যুবকেরা। মাঠে মাঝে মধ্যেই হচ্ছে ফুটবল প্রতিযোগিতা। আর হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সেই খেলা দেখতে। ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এমনই একটি ফুলবল প্রচিযোগিতা। খেলা দেখতে টিকিট কেটে মাঠে ভিড় করছেন দর্শকেরা। শুধু নদিয়া-মুর্শিদাবাদই নয়। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ক্লাব পরিচালিত এই নক-আউট ফুটবল টুর্নামেন্টে যোগ দিচ্ছে বর্ধমান, বীরভূম-সহ মোট ৮টা দল। শনিবার লালবাগ ও চানক্য ফুটবল দলের খেলা দেখতে তিন টাকার টিকিট কেটে মাঠে এসেছিলেন প্রায় কয়েক হাজার দর্শক। আয়োজক ক্লাবের সম্পাদক সেলিম আখতার বলেন, “বছর দশেক বয়স থেকেই আমরা এই মাঠে খেলা দেখতে আসতাম। ভিড়ের মধ্যে বড়দের পায়ের ফাঁক দিয়ে গলে সামনে যেতে হত। খেলা দেখেই খেলতে শিখেছি। অথচ এই মাঠে এখন আড্ডা মারা ছাড়া আর কিছুই হয় না। তাই নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে আসতেই এই আয়োজন।” সম্প্রতি সাদিখাঁড়দেয়াড় খেয়ালি সঙ্ঘের পরিচালনায় মুর্শিদাবাদের ৮টি দল নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময়েও মাঠে জন সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুর রহমান বলেন, “এক সময়ে েকেবল জেলা নয়, রাজ্যের ক্রীড়া মানচিত্রে সাদিখাঁড়দেয়াড়ের নাম উজ্জ্বল ছিল। এখন বিকেলে মাঠ ফাঁকাই থাকে। পুরনো দিনের সেই চেনা ছবি ফিরতে দেখে আমাদের ভাল লাগছে।” |