নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সুব্রত ভট্টাচার্য ঠিক করেছেন, দল জয়ের মধ্যে থাকলে তিনি আর মোহনবাগানের কোনও সাংবাদিক সম্মেলনে আসবেন না। পাঠিয়ে দেবেন কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
শুক্রবার চিরাগ কেরলের সঙ্গে খেলা, যারা রবিবারই কলকাতা এসে গিয়েছে ভাল প্রস্তুতির জন্য। বাংলা জানা (ঢাকায় কোচিং করানো) শ্রীলঙ্কান কোচ পাকির আলি বিকেলে মোহনবাগান মাঠেই ট্রেনিং দিলেন। সুব্রত ওই ম্যাচটার আগেও সাংবাদিক সম্মেলনে আসতে নারাজ। ট্রেভর মর্গ্যান প্রতিদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। স্টিভ ডার্বিও করতেন। সুব্রত ওই পথে যেতে চান না। বললেন, “দল যদি বিপর্যয়ের সামনে পড়ে তা হলে সাংবাদিক সম্মেলনে যাব। নইলে প্রশান্ত ও ফুটবলাররা যাবে।” অতীতে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক হওয়াতেই এ বার অভিনব সিদ্ধান্ত।
রবিবার ম্যাচ জিতেও মোহন টিডি তাঁর কোচ প্রশান্তকে পাঠান সাংবাদিক সম্মেলনে। সোমবার অনুশীলনের পরও টিডি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন না। তবে বুঝিয়ে দিলেন, জিতে তিনি স্বস্তিতে। ব্যারেটোর গলাতেও স্বস্তি। আই লিগের প্রথম ম্যাচটা জেতা যে খুব দরকার ছিল মানছেন ব্যারেটো।
সোমবারের অনুশীলন ছিল যাঁরা আগের দিন পুরো ম্যাচ খেলেননি তাঁদের জন্য। তবে হ্যাটট্রিক-নায়ক ওডাফা ছাড়া এসেছিলেন সবাই। অনুশীলনের পর গাড়িতে ওঠার আগে ব্যারেটোর গলায় স্বস্তি, “এই জয়টা আমাদের ভীষণ দরকার ছিল। অনেকটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।” তাঁর মুখে ফের প্রশংসা শোনা গেল সুব্রত ভট্টাচার্যের। বলছিলেন, “পিছিয়ে থাকার সময়েও সুব্রত দলকে সারাক্ষণ উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে।”
একটু আগে সে রকমই বলছিলেন ওডাফার দ্বিতীয় গোলের কারিগর অসীম বিশ্বাস। এ দিন সরকারি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনিই এসেছিলেন। অসীমের কথায়, “বাবলুদা টিমকে দারুণ মোটিভেট করতে পারে। সারাক্ষণ পিছন থেকে চেঁচায়। টিমের মানসিকতাটাই পাল্টে দিয়েছে।” সুব্রতর সঙ্গে অসীম পক্ষ নিলেন ওডাফারও। বলে দিলেন, “ওডাফাকে নিজের মতো খেলতে দিলেই আমাদের বেশি লাভ।” অসীমের মুখে ব্যারেটো, ওডাফা বা হাদসনের সঙ্গে সুনীল ছেত্রীর প্রশংসাও শোনা গেল। সেই সঙ্গে স্পষ্ট বললেন, “আগের দু’মাসে ডেড বল সিচুয়েশন সে ভাবে অনুশীলন হয়নি। প্র্যাক্টিসের অনেক পরিবর্তন হয়েছে।”
সেই পরিবর্তনে ভর করে অসীমের চোখে এখন নতুন স্বপ্ন, “আই লিগ জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি।” |