ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এখনও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির থেকে অনেক ভাল টিম। এই মন্তব্য আর কারও নয়, যাঁর দল ম্যান ইউকে ৬-১ পর্যুদস্ত করল সেই রবের্তো মানচিনির। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলে নিজেদের ম্যান ইউয়ের সমকক্ষ হয়তো ভাবতেও পারবেন না তিনি।
রবিবারই ছিল রুনির জন্মদিন। ৬ গোলে হেরেও গেলেও জন্মদিন পালন করতে প্রিয় চিনা রেস্তোরাঁয় গেছিলেন রুনি। আগে থেকেই রেস্তোরাঁ পুরো বুক করা ছিল। রুনির জন্মদিন পালনের চেয়েও বড় ঘটনা, পার্টিতে এসেছিলেন সিটির দুই ফুটবলার-গারেথ বেল ও জো হার্ট। রুনিকে বেশ মনমরা দেখাচ্ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে তিনি নিজেকে ফিরে পান। গানবাজনা চলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। রুনির স্ত্রী কলিন ব্যাগ ভর্তি উপহার এনেছিলেন অভ্যাগতদের দিতে। এবং অভ্যাগতদের তালিকায় ছিলেন সস্ত্রীক পিটার ক্রাউচ।
রুনির জন্মদিনে উপস্থিত হার্টকে নিয়ে মাঠেই এক দফা বিতর্ক হয়েছে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে হার্টকে নাকি মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন ইউনাইটেড সমর্থকরা। এই সমর্থকরা ম্যান ইউ মালিক গ্লেজার পরিবারের সামনেই তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। এ দিকে হঠাৎ সার্বিয়া জাতীয় দলের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়ক ভিদিচ। অবসর নিয়েছেন, সাংবাদিকদের সমালোচনার জন্য। দেশের হয়ে খেলার ব্যাপারে আন্তরিক নন, এই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। |
ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেই ঐতিহাসিক স্কোরবোর্ড |
১৯৬৮-র পর আর লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। কিন্তু এ বার আগেরো-জেকো-নাসরি-বালোতেল্লিরা সিটি সমর্থকদের স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করাচ্ছেন। তারকা-সমৃদ্ধ সিটির কোচ মানচিনির কথায়, “এটা মাত্র একটা ম্যাচ। আমি এখনও মনে করি ইউনাইটেডের সঙ্গে আমাদের ফারাক এক গজের। সেটা আমরা পাল্টাতে পারি যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। সেটা হলে ছবিটা হয়তো বদলাবে। ম্যান ইউ এখনও আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে।” তিনি বলেছেন, বালোতেল্লি এখন বিশ্বের সেরা পাঁচ জনের এক জন। ম্যাচের সেরা দাভিদ ভিয়াকে তিনি তুলনা করেন মেসির সঙ্গে।
এই দু’জনের সামনে রবিবার সবচেয়ে অসহায় দেখিয়েছে ম্যান ইউয়ের রক্ষণকে। নিজের দলের ডিফেন্স নিয়ে বলতে গিয়ে ক্ষোভ লুকোতে পারেননি ফার্গুসনও। টানা ২৫ বছরের কোচিংয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে মিথের পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া ফার্গুসনের কথায়, “আমাদের ফুলব্যাকরা হয়ে গিয়েছিল উইঙ্গার। আর রক্ষণে লড়াইটা হয়ে গিয়েছিল দুই বনাম তিনের। ব্যাপারটা হয়ে গিয়েছিল পুরোপুরি আত্মঘাতী এবং উন্মাদের মতো।” পাশাপাশি বলেন, “আমরা শুধু আক্রমণই করে গেলাম। ইতিহাসের বই হাতে নিয়ে খেলাটা ঠিক আছে যতক্ষণ উপস্থিত বুদ্ধি আছে। আমাদের ডিফেন্সের যা অভিজ্ঞতা ৪-১ হওয়ার পর আমাদের সেটা বুঝে পিছিয়ে থাকা উচিত ছিল।”
ছ’গোলের হার যে রুনি-নানিদের বিধ্বস্ত করে দিয়েছে তাও উল্লেখ করেন ফার্গুসন। “এই ধরনের হার ফুটবলারদের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। ড্রেসিংরুমে সবাই লজ্জিত হয়েই বসেছিল। আশা করছি সামনের সপ্তাহে এর জবাব ওরা দেবে।” এই বিতর্কের মধ্যেই ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্বেন গোরান এরিকসনকে ছাঁটাই করে দিল লেস্টার সিটি। |