নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আসল রেসে না থাকলেও সাপোর্ট রেসে বুদ্ধ সার্কিটে ঝড় তুলতে চলেছেন এক বঙ্গসন্তান।
নয়ডায় ফর্মুলা ওয়ানের আসল রেসের ৪৮ ঘণ্টা আগে এমআরএফ ফর্মুলা ওয়ান ১৬০০ গাড়ির চালকের আসনে বসছেন গল্ফ গ্রিনের অমিত্রজিৎ ঘোষ। মূল রেসের সঙ্গে যে দু’টি সাপোর্ট রেস হচ্ছে, তার একটায় ঘণ্টায় ২৫০ কিমি গতিতে গাড়ি চালাবেন কলকাতার ছেলে।
এখানে এমআরএফের এক অনুষ্ঠানে এ দিন নারায়ণ কার্তিকেয়নের সঙ্গে এক মঞ্চে বসে খুশিতে উজ্জ্বল অমিত্রজিৎ। পড়াশোনা যোধপুর পার্কের মডার্ন স্কুল এবং ভবানীপুর কলেজে। স্কুলে থাকতেই বাবা-মার হাত ধরে রেসের গাড়ি চালানোয় হাতেখড়ি। বাবা অরিন্দম ও মা স্বাতী ঘোষ ৮০’র দশকে হিমালয়ান মোটর র্যালিতে নিয়মিত যোগ দিতেন। অমিত্রজিৎ ২০০৪-এ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় হন। ২০০৫ এবং ২০০৭-এ এমআরএফ র্যালি চ্যাম্পিয়ন। আপাতত বুদ্ধ সার্কিটের সাপোর্ট রেসে প্রথম পাঁচে থাকাই লক্ষ্য গল্ফ গ্রিনের বাসিন্দার।
কার্তিকেয়ন বলছিলেন, “গো কার্টিংয়ের পরের ধাপ এই সাপোর্টিং রেস। এতে অংশগ্রহণ করতে করতেই এফ-ওয়ান রিজাভর্র্ চালকের সুযোগ আসতে পারে।” আরও জানালেন, এমআরএফ আগামী বছরই তৈরি করবে ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি। সাপোর্ট রেসে নানা দেশের ২০ জন চালককে নামাচ্ছে এমআরএফ। কার্তিকেয়ন বলছিলেন, “অনুশীলন করে আমার মনে হয়েছে বুদ্ধ সার্কিট যথেষ্ট কঠিন ট্র্যাক। এই সার্কিটে সর্বোচ্চ গতি তোলা মুশকিল।”
অন্য দিকে, ভারতকে নিজের ‘‘দ্বিতীয় বাড়ি” বললেও বুদ্ধ সার্কিট এখনও দেখা হয়নি আদ্রিয়ান সুটিলের। সাহারা ফোর্স ইন্ডিয়ার একটি অনুষ্ঠানে ভারতীয় ফর্মুলা ওয়ান দলের চালক বলছিলেন, “এখনও দেখিনি। তবে যতটুকু শুনছি, ট্র্যাকটা ভালই।” সুটিলের দলের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়নশিপে পঞ্চম স্থানে থেকে মরসুম শেষ করা। |