|
|
|
|
যে কালীপুজোর আকর্ষণ পরিবেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তুমুল হইহুল্লোড় আর শব্দ-দানবের দাপট। গ্রাম থেকে শহর কালীপুজোয় এই দৃশ্যতেই অভ্যস্ত বাঙালি। তবে এর বাইরেও যে সুস্থ পরিবেশে কালীপুজোর আয়োজন করা যায়, তার প্রমাণ মেদিনীপুর শহরের এলআইসি চকে ‘সুচেতনা’র পুজো।
এখানে তারস্বরে হিন্দি গান বাজে না। বিচিত্রানুষ্ঠানেও হিন্দি গানের চল নেই। বাংলা গানই শেষ কথা। এ বার থাকছে আদিবাসী নৃত্য, বস্ত্র বিতরণ, নরনারায়ণ সেবার আয়োজন। ১৯৭৬ সালে পুজোর সূচনা। উদ্যোক্তা সংস্থার নাম বদল হয়েছে বারবার। কখনও ‘জিজ্ঞাসা’, কখনও ‘ফ্যান্টাস্টিক’, বর্তমানে ‘সুচেতনা’। উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন মহিলাও। পুজো সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে লিফলেট। |
|
তৈরি হচ্ছে সুচেতনার মণ্ডপ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
পুজো কমিটির কার্যকরী সভাপতি অঞ্জন শিকদার বলেন, “কালী পুজো মানেই মদ্যপদের হইহুল্লোড়, অশান্তি মানুষের মধ্যে এই ধারণা রয়েছে। এটাই আমরা ভাঙতে চেয়েছি। আমাদের পুজোয় মহিলারাও ধুনুচি নাচে যোগ দেন। বাড়ির মহিলারা রাতে অঞ্জলিও দিতে আসেন। এক কথায় এলাকার আবালবৃদ্ধবনিতা এই পুজো উপভোগ করেন।” ধুনুচি নাচে থাকে নগদ পুরস্কারও রয়েছে। প্রথম পুরস্কার ৫০১ টাকা, দ্বিতীয় ৩০১ টাকা। মোট চার জনকে পুরস্কৃত করা হয়। মহিলাদের জন্যও রয়েছে বিশেষ পুরস্কার। এ বার ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা হবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। মণ্ডপেও থাকছে অভিনবত্ব। ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়ের মধ্যে শিবলিঙ্গ। বুধবার সন্ধ্যায় হবে পুজোর উদ্বোধন হবে। তারপর বস্ত্র বিতরণ। শেষে আদিবাসী নৃত্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা বিধায়ক তথা মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি ও পুরপ্রধান প্রণব বসুর। শুক্রবার বিচিত্রানুষ্ঠান ও শনিবার দুপুরে নরনারায়ণ সেবা। |
|
|
|
|
|