|
|
|
|
কংগ্রেস নেতা প্রহৃত, নালিশ তৃণমূলের নামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী- সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইলের হরিপুরা এলাকায়। ওই কংগ্রেস কর্মী বাড়িতে লুঠপাঠ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রহৃত সাঁকরাইল ব্লক কংগ্রেসের সম্পাদক তপন মণ্ডল এখন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাড়ি হরিপুরা গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় ছেলে রাহুলকে নিয়ে হরিপুরা থেকেই রোহিণী বাজারে আসছিলেন। অভিযোগ, আসার পথে কিসমৎ রামনন্দপুরের কাছে তাঁকে ঘিরে ধরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী- সমর্থকদের একাংশ। হঠাৎই মারধর শুরু হয়। পরে এলাকার কয়েক জনই আহত অবস্থায় তপনবাবুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। প্রহৃত কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, “এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছেন। মানুষের উপর জোর-জুলুম করছেন। এর প্রতিবাদ করার জন্যই আমার উপর হামলা চালানো হল।”
তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র বলেন,“ ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন। এক সিপিএম কর্মীকে আশ্রয় দেওয়া নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। ওই কর্মীর নামে নানা অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি।” কংগ্রেসের অবশ্য বক্তব্য, ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘোরাতেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের নির্দেশে সোমবার হরিপুরায় যান কংগ্রেস নেতা প্রসূণ ষড়ঙ্গী, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় দে প্রমুখ। প্রহৃত কর্মীর বাড়ি ঘুরে দেখার পর প্রসূনবাবু বলেন,“ এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। ঘরে ঢুকে সমস্ত কিছুই লুঠ করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ- প্রশাসনের কাছেও আমরা এই দাবি জানিয়েছি।” তপনবাবুর অভিযোগ, বাজারে আসার সময় তাঁর কাছে মোবাইল ফোন, নগদ দশ হাজার টাকা ছিল। ঘটনার পর এ সবই খোওয়া গিয়েছে। সোমবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে এসে প্রহৃত নেতার সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর শারিরীক অবস্থার খোঁজখবর নেন। সাঁকরাইলের ঘটনায় এ জেলায় কংগ্রেস- তৃণমূলের অন্দরেও শোরগোল শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|