|
|
|
|
ডেবরায় ফের দুর্ঘটনা, ছাত্রী-সহ মৃত ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের দুর্ঘটনা ডেবরায়। ক’দিন আগেই স্থানীয় ভগবানবসানে পুরী যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১০ মহিলা-সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার ডেবরা বাজারে খড়্গপুরগামী একটি লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল দু’জনের। প্রতিবাদে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন স্থানীয় মানুষ। অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে সব সময় ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। ফলে, দুর্ঘটনা বাড়ছে। ওইএলাকায় উড়ালপুল তৈরির দাবিও উঠেছে। এ দিন দুর্ঘটনার পরে লরিটি আটক করেছে পুলিশ। চালক ও খালাসি পলাতক। ডেবরা থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু হোতা বলেন, “দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
অবরোধে যানজট ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। নিজস্ব চিত্র। |
গত এক সপ্তাহে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন সকলেই। এ দিন বেলা এগারোটা নাগাদ ডেবরা বাজারে সামনে জাতীয় সড়কেই খড়্গপুরগামী সিমেন্ট বোঝাই লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান আত্রেয়ী চক্রবর্তী (২৫)। পরে ডেবরা হাসপাতালে মৃত্যু হয় অভিমন্যু সিংহ (৩২)-এর। আত্রেয়ী বিএডের ছাত্রী। বাড়ি ডেবরায়। আর অভিমন্যু মাছ ব্যবসায়ী। বাড়ি স্থানীয় রাধামোহনপুরে। দু’জনেই এ দিন জাতীয় সড়ক দিয়ে বালিচকের দিকে যাচ্ছিলেন। আত্রেয়ী ছিলেন সাইকেলে। অভিমন্যু মোটরবাইকে। সড়কের মাঝে ট্রাফিক স্ট্যান্ডের অদূরে ‘নিরাপদ’ জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন ওঁরা। নিয়ন্ত্রণ হারানো লরিটি আচমকা তাঁদের ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শী তপন মাইতি বলেন, “দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচলের জন্যই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। তা-ও পুলিশের হুঁশ নেই।” এ দিন যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, বছর পাঁচেক আগে ঠিক সেখানেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন তপনবাবু। তাঁর কথায়, “দেড় মাস কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। কিন্তু যে কারণে দুর্ঘটনা, সেই ট্রাফিক ব্যবস্থার হাল এত বছরেও ফেরেনি।” এ দিন দুর্ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ জনতা পথ অবরোধ করে। লরি-গাড়ির দীর্ঘ লাইনে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। নাকাল হন বহু মানুষ। পরে পুলিশ গিয়ে অবস্থা সামলায়। |
|
|
|
|
|