|
|
|
|
শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ করতে অভিযান, গ্রেফতার শতাধিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর ও পুরুলিয়া |
কালীপুজোর আগে শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ করতে জেলায় জেলায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার থেকে বোলপুর শহর, শান্তিনিকেতন-সহ নানা জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রায় ৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে কয়েক জন চুরি, ছিনতাই-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত আছে বলে দাবি পুলিশের। অন্য দিকে, রবিবার অতর্কিতে হানা দিয়ে পুরুলিয়া শহরের এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে প্রচুর শব্দবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এসডিপিও (বোলপুর) দেবস্মিতা দাসের নেতৃত্বে শুক্রবার থেকে দফায় দফায় অভিযান চলছে। দেশি-বিদেশি মদের ঠেক, গাঁজার আড্ডায় তল্লাশি চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, লালপুল, মিশন কম্পাউন্ড, হাটতলা, চিত্রামোড়, শ্রীনিকেতন রোডের বেশ কিছু এলাকা সন্ধ্যা নামলেই সমাজবিরোধীদের দখল চলে যায়। সেই সব রোখার পাশাপাশি পুজোয় শব্দবাজি ব্যবহার রুখতে অভিযান চালানো হয়েছে। এসডিপিও বলেন, “পুজোর আগে শহরে যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তার জন্য এই অভিযান।” মহকুমার নানুর, লাভপুর, ইলামবাজার থানার ওসিদের উদ্যোগে তিনটি থানা এলাকা থেকে প্রায় ২৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ বলেন, “চুরি, ছিনতাই বন্ধ করা, শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ করার জন্য অভিযান চলছে। জেলা জুড়ে অভিযান চালিয়ে ১৪০০ কেজি শব্দবাজি উদ্ধার করা হয়েছে। জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২০০ তাজা বোমা ও ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র |
অন্য দিকে, রবিবার রাতে ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুরুলিয়া জেলাপুলিশের একটি দল শহরের কয়েক জায়গায় অভিযান চালায়। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকেই পুলিশ শব্দবাজির বিরুদ্ধে জেলাজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে। সামনে দীপাবলি। তাই অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকলেও চোরা পথে তা বিক্রি হচ্ছে। আলোর বাজির সঙ্গে কৌশলে শব্দবাজি জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এক পুলিশ কর্তার কথায়, “এ ধরনের বাজিগুলি সরাসরি ফাটে না। প্রথমে আলোর ফুলকি ছড়ায়, পরে প্রচণ্ড শব্দে ফাটে।” পুলিশের কাছে খবর ছিল, পুরুলিয়া শহরে শব্দবাজিগুলি ঝাড়খণ্ড থেকে ঢুকছে। তাই ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|