শব্দবাজি বন্ধ করতে অভিযান |
কালী পুজো উপলক্ষে শব্দবাজি বন্ধ করতে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অভিযান চালাচ্ছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) শীষরাম ঝাঝরিয়া জানান, কঠোর ভাবে শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রানিগঞ্জ এলাকার শব্দবাজি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে নির্দিষ্ট শব্দাঙ্কের মধ্যে বাজি প্রস্তুত ও বিক্রি করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শব্দবাজি রুখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের আসানসোল কার্যালয়ের আধিকারিক অঞ্জন ফৌজদার জানান, পুলিশ ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একটি যৌথ অভিযানকারী দল তৈরি করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ধরপাকড় চলছে। অঞ্জনবাবু জানান, রানিগঞ্জ, বার্নপুর, চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর ও আসানসোলের কয়েকটি জায়াগায় নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে শব্দবাজি ফাটানোর প্রবণতা রয়েছে। এ বার ওই সমস্ত এলাকায় আগে থেকেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “দীপাবলি উৎসবের প্রথম তিন দিন নির্দিষ্ট শব্দাঙ্ক মাপার যন্ত্র শিল্পাঞ্চলের একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীভূত করে পরিমাপ শব্দের করা হবে।”
|
দীপাবলির আগে দু’জন শব্দবাজি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হলদিয়ার ব্রজলালচক বাজারে ঘটনাটি ঘটে। ধৃত দুই ব্যাক্তির নাম শেখ হাসানুর জাহান ও মতিয়া রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ করতে রুটিন অভিযান চালাকালীন ওই দু’জন বাজি বিক্রেতা হাতেনাতে ধরা পড়েন। এদিনই অবশ্য হলদিয়া মহকুমা আদালতে জামিনে মুক্তি পান তাঁরা।
|
কালী পুজোয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি দূষণ রুখতে প্রচার চালাল শহরের অভিভাবক মঞ্চ। সোমবার আলিপুরদুয়ার শহরের চৌপথি এলাকায় শিশুদের হাতে প্লাকার্ড নিয়ে বাজির দোকানে প্রচার চালানো হয়। অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী নিষিদ্ধ শব্দবাজি চকলেট বোমা, দোদোমা, রকেট ও লঙ্কা বোমা যাতে কোনও দোকানে বিক্রি করা না-হয় সেই ব্যাপারে প্রচার চালানো হয়।” |