|
|
|
|
| |
| গাছ কেটে পাচারে নাম পাঁচ বনকর্মীর |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
| অফিস চত্বরের তিনটি গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ উঠল বন দফতরের এক বিট অফিসার সহ পাঁচ কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি সংলগ্ন সোনাপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। রবিবার বাসিন্দারা বনকর্তাদের কাছে গাছ পাচারের ওই অভিযোগ জানান। তাঁরা জানান, তিনটি গাছ কেটে করাত কলে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করলেও পরে সেগুলি অফিস চত্বরে লুকিয়ে রাখা হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন কোচবিহারের বনসৃজন বিভাগের ডিএফও পিনাকী মিত্র। খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনও বনকর্তাদের কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এর পরেই সোমবার অভিযুক্ত বনকর্মীদের শো-কজ করা হয়। বনমন্ত্রী বলেন, “অফিস চত্বরের গাছ কেটে পাচারের খবর পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিই। বলেছি, দফতরের কেউ জড়িত থাকলেও যেন রেহাই না পায়।” ডিএফও বলেন, “গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিট অফিসার সহ পাঁচ জনকে শো-কজ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ ছাড় পাবে না।” পুণ্ডিবাড়ির সোনাপুর এলাকায় একই চত্বরে সোনাপুর রেঞ্জ এবং পুণ্ডিবাড়ি বিট অফিস। সেখানে সরকারি আবাসনে থাকেন বিট অফিসার সহ কয়েকজন কর্মী। শনিবার ওই বনকর্মীরা অনুমতি ছাড়া অফিস এলাকার একটি খয়ের এবং দুটি ছাতিয়াম গাছ কেটে পাচার করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, তিনটি গাছ কেটে চেরাই করার জন্য করাত কলে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে ডিএফওকে খবর দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গাছের টুকরোগুলি রেঞ্জ অফিসে ফিরিয়ে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। এর পরেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে স্থানীয় বনকর্মীদের সাহায্য ছাড়া দফতরের অফিস চত্বরের গাছ এ ভাবে কেটে পাচার করা কী সম্ভব? ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ঘটনার তদন্তে নামেন বনসৃজন দফতরের এডিএফও অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়। শোকজ করা হয় পুণ্ডিবাড়ির বিট অফিসার সহ পাঁচ বন কর্মীকে। বিট অফিসার স্বপন সরকার বাসিন্দাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মার অসুস্থতার জন্য শুক্রবার থেকে আমি দিনহাটার চৌধুরীহাটের বাড়িতে ছিলাম। সোমবার অফিসে ফিরে ঘটনার কথা শুনেছি। শো-কজের চিঠি পাইনি। পেলে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে উত্তর দেব।” সোনাপুর রেঞ্জের অফিসার মৃন্ময় সরকার অসুস্থতার জন্য ছুটিতে। কোচবিহারের এক বিট অফিসার অস্থায়ীভাবে কাজ দেখভাল করছেন। তিনি সোনাপুরে থাকতে পারেন না। |
|
|
 |
|
|
