বিদ্যুৎ বিল বাবদ বকেয়া বহু টাকা। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি তা নিয়ে একাধিক বার নোটিসও পাঠিয়েছে। কিন্তু শোধ হয়নি কিছুই। সরকারি আইন মতোই এরপরে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে কোম্পানির কর্মীরা গিয়েছিলেন গ্রামে। তাঁদের ধরে বেদম পেটায় জনতা। মুখে কীটনাশক ছেটানো হয় বলেও অভিযোগ। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের উত্তর সাঁইথ্যা গ্রামে। সুধাংশুশেখর দে, অজিত দে এবং সুভাষ দে নামে মূল তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরামবাগে বেশ কিছু দিন ধরেই বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগের বিরুদ্ধে নেমেছে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি।
পুলিশ ও বণ্টন কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সাঁইথ্যা গ্রামের মাঠে সুধাংশুশেখর দে মিনি ডিপটিউবয়েল বসিয়ে স্থানীয় চাষিদের সেচের জল দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেছেন বছর খানেক আগে। শুরুতে চুরি করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগে তিনি একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন। পরে বৈধ সংযোগ নিলেও গত এপ্রিল মাস থেকে তাঁর হাজার পঁচিশ টাকার বিদ্যুতের বিল বকেয়া বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আরামবাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডল। তা নিয়ে একাধিক নোটিস পাঠানো হয় সুধাংশুকে।
সোমবার বেলা ২টো নাগাদ বণ্টন কোম্পানির নির্দেশ মতোই গোঘাট শাখার কর্মী রঞ্জিত সিংহ, বুবুল ভট্টাচার্য, বিনোদ সাউ, সঞ্জয় সাঁতরা এবং মন্টু সাঁতরা গিয়েছিলেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে। মাঠে সংযোগ ছিন্ন করতে গেলে সুধাংশুবাবু ও তাঁর লোকজন বাধা দেন বলে অভিযোগ। গ্রামের লোককে ডেকে তিনি বলেন, সংযোগ ছিন্ন করলে কেউ সেচের জল পাবেন না।
এই প্ররোচনায় আগুনে ঘি পড়ে। শুরু হয় মারধর। এক জনের হাতঘড়ি খোওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ আসে এলাকায়। প্রহৃত কর্মীদের কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। রাতেই বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির গোঘাট শাখার তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়
অভিযুক্তদের পক্ষে সঞ্জয় দে-র দাবি, মারধর করা হয়নি কাউকে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে বিল মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। |