সেতু জীর্ণ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রামবাসী। হাওড়ার জয়পুরের অমরাগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনুচক এবং মহাকালপুর এই দু’টি গ্রামকে জুড়েছে কাঠের সেতুটি। ঝিকিরা-রামপুর খালের উপরে সেতুটি লম্বায় প্রায় ১০০ ফুট। জীর্ণ হয়ে পড়ায় সেতুটি চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে সেতুটি মেরামতির দাবি জানিয়েছেন।
এই সেতুর উপর দিয়ে উদয়নারায়ণপুর ব্লকের দেবীপুর, ভবানীপুর-বিধিচন্দ্রপুর এবং আমতা-২ ব্লকের অমরাগড়ি, ঝিকিরা, জয়পুর, বিনোলা-কৃষ্ণবাটি, থলিয়া মোট সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। কলেজ, হাইস্কুল, বাজার এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াতেরও অন্যতম সহজ মাধ্যম হল সেতুটি। |
গ্রামবাসীরা জানান, বছর পাঁচেক আগে থেকে সেতুটি জীর্ণ হতে শুরু করে। কাঠ ভেঙে পড়ে যায়। কোনও মতে বাঁশ দিয়ে গ্রামবাসীরা যাতায়াত করছেন। এক সময়ে মোটরবাইক, সাইকেল এবং ভ্যানরিকশা এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করলেও বর্তমানে সে সব বন্ধ। প্রাণ হাতে করে গ্রামবাসী এবং ছাত্রছাত্রীরা এই সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করছেন। কয়েক দিন আগে সেতুটির বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। ফলে, পরিস্থিতি দিনদিন আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে।
গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, তাঁরা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে সেতুটি মেরামত করার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এর আগে জীর্ণ সেতুটি পারাপার করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেতুটি অবিলম্বে মেরামত করা না-হলে ফের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। আমতা ২-এর বিডিও পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “সেতুটির অবস্থা সত্যিই শোচনীয়। তবে এটার মেরামতির দায়িত্ব সেচ দফতরের। ওই দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। খুব শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু হবে বলে সেচ দফতর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।” |