রেলের নিলাম চলাকালীন দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় জখম হলেন পাঁচ রেলকর্মী। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া স্টেশনের কাছেই মুখরাম কানোরিয়া রোডে পূর্ব রেলের সিনিয়র মেটিরিয়াল ম্যানেজারের ডিপোর ভিতরে। হাওড়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা পালানোর সময়ে ডিপোর প্রধান ফটকের বাইরে বোমা ছোড়ে। যার জেরে ক্ষতি হয় এলাকার একটি ক্লাবের কালীপুজোর মণ্ডপের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর পরে ঘটনাস্থলে যান রেলরক্ষী বাহিনী (আরপিএফ) ও হাওড়া পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মুখরাম কানোরিয়া রোডের রেলের ওই ডিপোর ভিতরে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-এর মালপত্রের নিলাম চলছিল। তার জন্য এ দিন সকাল থেকে ডিপোর ভিতরে ও প্রধান ফটকের সামনে নিলামে অংশগ্রহণকারীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদশর্ীর্রা জানান, দুপুর আড়াইটে নাগাদ ডিপোর ভিতরে প্রধান ফটক থেকে কিছুটা দূরে ভিড়ের মধ্যে আচমকা একটি বোমা এসে পড়ে। স্প্লিন্টার ঢুকে আহত হন রেলের পাঁচ কর্মী। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাওড়ায় ছাঁট লোহার নিলামকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি, খুন, জখম নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে এই প্রথম নিলাম চলাকালীন ডিপোর ভিতরে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। |
প্রতক্ষ্যদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, ভিতরে বোমা মারার পরেই ৪-৫ জন দুষ্কৃতী ডিপো থেকে বেরিয়ে এসে পালানোর সময়ে পরপর আরও দু’টি বোমা ছোড়ে। ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় গোটা এলাকা। বোমায় পুড়ে যায় গেটের সামনে একটি কালীপুজোর মণ্ডপের সামনের অংশ। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন স্থানীয় দোকানদার ও বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়ার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) রশিদমুনির খান। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পরে তিনি জানান, নিলাম ভেস্তে দেওয়ার জন্য ডিপোর ভিতরে ও বাইরে বোমাবাজি করা হয়েছে বলেই অনুমান। কিন্তু এর পরেও নিলাম ঠিকঠাক হয়েছে বলে রেলকর্তাদের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে রেলের সুরক্ষিত ডিপোর ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা বোমা মেরে কী করে পালাল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার সমীর গোস্বামী বলেন, “আমি শুনেছি বোমা ভিতরে পড়েনি। গেটের সামনে পড়েছে।
তাতে রেলের ৫ কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। তাঁদের রেলের অর্থোপেডিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” |