|
|
|
|
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় |
বাদ রামানুজনের প্রবন্ধ, বিক্ষোভ দিল্লির রাস্তায় |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এ কে রামানুজনের রামায়ণ সংক্রান্ত প্রবন্ধ। এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, এটা ইতিহাসের উপরে হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন কলেজ ঘুরে উপাচার্যের অফিসের সামনে শেষ হয় মিছিল। বিক্ষোভকারীদের তরফে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয় উপাচার্যকে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীরও দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
তবে, এই প্রতিবাদকে ‘হাস্যকর’ আখ্যা দিয়েছেন জনতা দলের সভাপতি সুব্রহ্মণম স্বামী। মিছিলের পর এক সাংবাদিক বৈঠকে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য সভাপতি প্রবীণ গর্গ বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একতরফা রাজনীতি করছেন বামপন্থায় প্রভাবিত কিছু ঐতিহাসিক এবং তাঁদের অনুগামীরা।”রামানুজনের রচিত রামায়ণ সংক্রান্ত প্রবন্ধটি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। ২০০৬ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হয় “থ্রি হান্ড্রেড রামায়ণস: ফাইভ এগজাম্পলস অ্যান্ড থ্রি থটস অন ট্রান্সলেশন” প্রবন্ধটি। ভারত এবং এশিয়ার অন্যান্য দেশে প্রচলিত রামায়ণের বিভিন্ন রকম কাহিনির বর্ণনা রয়েছে এই প্রবন্ধে। ২০০৮ সালে প্রবন্ধটির অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে বিক্ষোভ দেখায় বিদ্যার্থী পরিষদ। তাদের দাবি ছিল, প্রবন্ধটি হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করেছে। এর পরই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে কমিটির চার জন সদস্যের মধ্যে তিন জনই প্রবন্ধটিকে পাঠ্যক্রমে রাখার পক্ষে মত দেন। কিন্তু তার পরোয়া না করেই প্রবন্ধটিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। ঘটনার প্রতিবাদ করে ইন্টারনেটে একটি স্বাক্ষর-সংগ্রহ অভিযান চালু করেন ছাত্র-শিক্ষকরা। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন বিপান চন্দ্র, রোমিলা থাপার এবং মৃদুলা মুখোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বও। |
|
|
|
|
|