ভারতীয় চপারকে গুলির হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান
কাশসীমা পেরিয়ে ঢুকে পড়া ভারতীয় সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টারটিকে গুলি করার হুমকি দিয়েছিল পাক সেনারা। কপ্টারটিকে স্কার্দুতে নামাতে একটি যুদ্ধবিমানও পাঠানো হয়েছিল। পাক সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের একটি প্রভাবশালী সংবাদপত্র এই খবর দেয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় কপ্টার ও তার আরোহী সেনা অফিসারদের ভারতে ফিরতে দেওয়া হয়। তার ফলে দু’দেশের মধ্যে উদ্ভূত সাময়িক উত্তেজক পরিস্থিতির অবসান ঘটে।
পাক সেনা বাহিনীর এক সূত্র সংবাদপত্রটিকে জানিয়েছে, কাল ভরদুপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চপারটিকে নিয়ন্ত্রণ রেখার প্রায় ২০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে চক্কর কাটতে দেখে প্রহরায় থাকা পাক সেনারা বিস্মিত হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সজাগ করা হয়। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য সর্বদা তৈরি রাখা যুদ্ধ বিমানগুলির একটিকে পাঠানো হয় চপারটির পিছনে। বেতারে ভারতীয় কপ্টারের পাইলটকে জানানো হয়, পালাতে গেলেই গুলি করা হবে।
এর আগে ২ মে কয়েকটি মার্কিন চপার বিনা বাধায় পাকিস্তানের কেন্দ্রস্থলে অ্যাবটাবাদ শহরে ঢুকে মেরিন সেনাদের নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। সেনারা অভিযান চালিয়ে আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে নিকেশ করে। পাক সেনারা জানায়, তাদের আকাশসীমায় মার্কিন চপারের ঢুকে পড়ার বিষয়ে তারা সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল। এই ঘটনার পরে দেশের আকাশসীমা রক্ষায় চূড়ান্ত ব্যর্থতার জন্য সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল পাক সেনাদের। তার পরেই বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে তারা ঢেলে সাজে। বিকল হয়ে ভিমভাটে নেমে পড়া আর একটি চপার মেরামতির জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনীর ‘চিতা’ চপারটি লে থেকে উড়েছিল। ভিমভাট নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছেই। খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেটি দিক ভুল করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে। স্কার্দুতে চপারটিকে নামিয়ে আরোহী ভারতীয় অফিসারদের জেরা করে মুক্তি দেয় পাক সেনারা। পাক সেনা বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতহার আব্বাস কাল জানিয়েছিলেন, “ভারতীয় অফিসারদের জেরা করে সন্তুষ্ট হওয়ার পরেই চপারটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” কিন্তু পাক সেনার সূত্র সে দেশের সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, সত্যিই আবহাওয়া খারাপ থাকায় ছাড় পেয়েছে চপারটি। কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে যে তারা আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি, এমন কথা পুরোপুরি মেনে নিচ্ছে না পাক সেনা বাহিনী। এ জন্য পূর্ণাঙ্গ তদন্তও শুরু করেছে তারা। সেনাদের ওই সূত্রের দাবি, “ভারতীয় চপারটিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পিছনে বৃহত্তর কারণও রয়েছে। পাকিস্তান সেনা বাহিনী চায় না দু’দেশের মধ্যে শান্তির বাতাবরণ নষ্ট হোক, বা আলোচনা প্রক্রিয়া বেলাইন হোক।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.