|
|
|
|
অণ্ণা শিবিরের বিরুদ্ধে ফের তোপ অগ্নিবেশের |
বিমানভাড়ার অতিরিক্ত টাকা ফেরাবেন, জানালেন বেদী |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দুর্নীতির প্রশ্নে সমালোচনার মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হলেন কিরণ বেদী। আজ তিনি জানিয়েছেন, বিমানভাড়ার যে অতিরিক্ত টাকা তিনি নিয়েছেন, তা আয়োজক সংস্থাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এই প্রশ্নে অবশ্য বেদীর পাশে দাঁড়িয়েছেন অণ্ণা হজারে। তাঁর দাবি, বেদীকে বিপাকে ফেলতে কংগ্রেসের ‘দুষ্ট চতুষ্টয়’ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। আর এর মধ্যেই অণ্ণা শিবিরের বিরুদ্ধে নতুন করে মুখ খুলেছেন শিবিরের এক সময়ের সদস্য স্বামী অগ্নিবেশও। তাঁর দাবি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছেও ৮০ লাখ টাকার হিসাব চেয়েছেন অণ্ণা। এই সব ঘটনায় অণ্ণা শিবিরের বিরুদ্ধে নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। শুরু হয়েছে কংগ্রেস-বিজেপি বাগ্যুুদ্ধও।
বেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন আয়োজক সংস্থা তাঁকে কোনও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রণ জানালে তিনি নিজের শৌর্য পদক দেখিয়ে বিমানভাড়ায় ৭৫ শতাংশ ছাড় নিতেন। কিন্তু আয়োজক সংস্থার কাছ থেকে পুরো বিমানভাড়া নিতেন। এমনকী আয়োজকদের থেকে বিজনেস ক্লাসের টাকা নিয়ে ইকনমি ক্লাসে যাতায়াত করতেন। তবে প্রাক্তন পুলিশ কর্তার সাফাই ছিল, পুরো টাকা তিনি তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইন্ডিয়া ভিশন ফাউন্ডেশন-কে দিয়ে দেন।
আজ বেদী জানিয়েছেন, ভ্রমণ সংস্থার এজেন্ট অনিল বল ইন্ডিয়া ভিশন ফাউন্ডেশনের এক জন ট্রাস্টি। তিনি সংস্থার হিসাবপত্র রাখেন। তাঁর যাতায়াতের সমস্ত বিষয়ও অনিল বলই দেখাশোনা করেন। কিরণের কথায়, “সংস্থার ট্রাস্টিরা অনিল বলকে বিমানভাড়ার অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেছেন। এবং সংস্থার তরফে আমাকে বলা হয়েছে, এর পর থেকে আয়োজকদের কথা মতোই আমি যেন যাতায়াত করি।” এই ঘটনায় কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের কটাক্ষ, “তার মানে কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত লোক টাকা ফেরত দিয়ে দিলেই তাঁর অপরাধ মুছে যাবে! তা হলে এ রাজাকে কেন জেলে রাখা হয়েছে। রাজাও টাকা ফেরত দিয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসুন।”
নিজের ব্লগে অবশ্য পুরোপুরি কিরণ বেদীকে সমর্থন করেছেন হজারে। তাঁর মতে, শুধু বেদী নয়, অণ্ণা শিবিরের সব সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁদের চরিত্র হননের চেষ্টা হয়েছে। এ সবের পিছনে শাসক দলের চার জনের হাত রয়েছে। তাঁরা জন লোকপাল বিল পাশ হতে দিতে চান না। কংগ্রেস ও সরকারে অনেক সৎ লোক আছেন। কিন্তু তাঁদের কথা বলতে দেওয়া হয় না।
অগ্নিবেশ আজ অভিযোগ করেন, অণ্ণা শিবিরের দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনে জনতার অর্থসাহায্যের ৮০ লাখ টাকা অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন। এ দিন তিনি দাবি করেন, “এই ঘটনায় অণ্ণা হজারেও ক্ষুব্ধ। তিনিও চান তাড়াতাড়ি ওই টাকার অডিট করে ওয়েবসাইটে দেওয়া হোক।” তাঁর আরও দাবি, “অণ্ণা বলেছেন এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়েছে। তাই এ জিনিস তিনি বরদাস্ত করবেন না।” এই বিষয়ে দিগ্বিজয়ের বক্তব্য, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়াল তো স্বচ্ছতার প্রতিমূর্তি। এখন তিনি সামনে এসে বলুন, কে ঠিক? তিনি না অগ্নিবেশ।”গত কাল অণ্ণা শিবির তথা কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধী। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে দিগ্বিজয় বলেন, “এতে আমি খুশি। এতেই প্রমাণিত অণ্ণা আর রামদেবের কর্মসূচির পিছনে রয়েছে আরএসএস-বিজেপি।” তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন বরুণ গাঁধী। টুইটে তাঁর প্রশ্ন, “কী বোঝাপড়া রয়েছে টিম অণ্ণা আর বিজেপি-র মধ্যে? আমি শুধু জন লোকপাল বিলের এক জন সমর্থক।” তাঁর দাবি, “অণ্ণা-কেজরিওয়াল-বেদীর সঙ্গে আমার দেখা বা কথা হয়নি।” |
|
|
|
|
|