আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুঃস্থ রোগীদের সহায়তা তহবিলের টাকা না পেয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। টাকা আসছে না প্রায় এক বছর ধরে। গত বছর নভেম্বর মাসে এই খাতে মাত্র ১ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই টাকা এ বছর মার্চ মাসেই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। তারপর থেকে ‘ডিস্ট্রিক্ট ইলনেস অ্যাসিস্ট্যান্স ফান্ড’-এর টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। ওই টাকা দাবি করে প্রায় প্রতি দিনই রোগীর পরিবারের লোকজন ভিড় করছেন হাসপাতালে। কিন্তু টাকা নেই এই মর্মে নোটিস ঝোলানো হাসপাতালের বিভিন্ন এলাকায়। হাসপাতাল সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি হলেই বিপিএল তালিকাভুক্তেরা ২ হাজার টাকা পর্যন্ত পান। কিন্তু তা দিতে না পারায় অশান্তি হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে অসুবিধার কথা নিয়মিত জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।” প্রকল্পটি জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের আওতাধীন। এ রাজ্যে ২০০৭ সাল থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বিপিএল রোগীদের ওষুধপত্র কেনা-সহ চিকিৎসা-সংক্রান্ত আর্থিক সহায়তা দানই এর উদ্দেশ্য। হাসপাতালে ভর্তি হলেই হাতে হাতে টাকা পেয়ে যাওয়ার কথা। মহকুমা থেকে শুরু করে গ্রামীণ হাসপাতাল স্তর পর্যন্ত রোগীরা এই টাকা পেতে পারেন। এ ব্যাপারে হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক উন্মেষ বসু বলেন, “আর্থিক সমস্যা কেটে যাবে। বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আনা হয়েছে।”
|
এক সপ্তাহ ধরে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে জামুড়িয়ার নিঘা সুভাষপল্লি এলাকায়। স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্বাস্থ্য দফতর নিয়মিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ দিচ্ছে। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিতা সেন চট্টরাজ জানান, পরিত্যক্ত খাদানের জল খাচ্ছেন বাসিন্দারা। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর বা পুরসভার কোনও জল সরবরাহ ব্যবস্থা নেই। ওই এলাকাটি পুরসভা আবর্জনা জমা করার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে। তা থেকে সংক্রমণ হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এলাকার জলাশয়গুলির শুদ্ধকরণ করা হচ্ছে। জলের নমুনা আসানসোল মাইনস বোর্ড অফ হেলথ-র গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। |