টুকরো খবর
স্বামী প্রমেয়ানন্দের অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহ-অধ্যক্ষ স্বামী প্রমেয়ানন্দের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল। শুক্রবার সকালে বেলুড় মঠের গঙ্গার তীরে। ভোর থেকেই অন্ত্যেষ্টির প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে স্বামী প্রমেয়ানন্দের দেহ সন্ন্যাসীরা কাঁধে করে প্রথমে নিয়ে যান মূল মন্দিরে রামকৃষ্ণ দর্শনে। সেখান থেকে মঠ অফিস প্রাঙ্গণে কিছুক্ষন দেহ শায়িত রাখা হয়। এরপরে মঠ অফিস থেকে প্রমেয়ানন্দের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ব্রহ্মানন্দ মন্দিরে। তার পরে শ্রীমায়ের ঘাটে। সেখানেই তাঁকে স্নান করিয়ে পরানো হয় নতুন বস্ত্র। কাঁধে দেওয়া হয় সন্ন্যাসীর চিরসঙ্গী সাঁপি বা ভিক্ষার ঝুলি। সেখান থেকে স্বামীজির মন্দির ও প্রেসিডেন্ট মহারাজের বাসভবন হয়ে স্বামী প্রমেয়ানন্দের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দাহস্থলে। ১২টা৩০ মিনিটে জ্বলে উঠল চিতা। চারিদিকে তখনও অসংখ্য ভক্তের ভিড়। সন্ন্যাসীদের সমবেত কন্ঠে তখন ধ্বনিত হচ্ছে ‘ওই দেখা যায় আনন্দধাম.....।’

পাশ-ফেল প্রথা থাকবে রাজ্যে
কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষার অধিকার আইনে পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার কথা বলা হলেও রাজ্য তা মানবে না। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ২০০৯-এ পাশ শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ফেল করানো যায় না। বিভিন্ন রাজ্যে তা কার্যকর হলেও এ রাজ্যে এখনও হয়নি। ব্রাত্যবাবু এ দিন জানান, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার অধিকার আইন চালু হবে পশ্চিমবঙ্গে। তবে পাশ-ফেল প্রথা থাকবে।তিনি বলেন, “আমরা চাই পাশ-ফেল প্রথা থাকুক। শিক্ষার অধিকার আইন চালু হওয়ার পরেও এ রাজ্যে পাশ-ফেল প্রথা থাকবে।” এ ব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান ব্রাত্যবাবু।স্কুলস্তরে পঠনপাঠন, পরীক্ষা, পাঠ্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। দু’-এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ার কথা। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, “পরীক্ষা ব্যবস্থায় কিছু বদল আনা হতে পারে। তবে ওই কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পরেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।” মাধ্যমিক স্তরে এখন পাঁচটি ইউনিট টেস্ট এবং বার্ষিক পরীক্ষা হয়। স্কুলশিক্ষা দফতর গঠিত ওই কমিটি সূত্রের খবর, এই পদ্ধতি বদলে গোটা বছরকে তিনটি পর্বে ভাগ করে পার্বিক পরীক্ষার (টার্মিনাল টেস্ট) মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সুপারিশ করা হতে পারে।

স্থায়ী হচ্ছে ২৪ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত
রাজ্যের ২৪টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতকে স্থায়ী আদালতে পরিবর্তিত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার ‘ওয়েস্টবেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিস’-এর এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে মহাকরণে দেখা করতে গিয়েছিলেন। স্থায়ীকরণের কথা তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন মলয়বাবু। পরে তিনি বলেন, “সারা রাজ্যে এখন ১৫০টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ২৪টিকে স্থায়ী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালতে পরিবর্তিত করা হবে। পরে বাকি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতকে একই ভাবে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে বদলে দেওয়া হবে।” আইনমন্ত্রীর দাবি, এর ফলে দ্রুত আরও বেশি মামলার নিস্পত্তি সম্ভব হবে। এ দিন আইনমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপিও জমা দেন প্রতিনিধিরা। স্মারকলিপিতে রাজ্যের বিচারব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, বিচারভবনগুলির সংস্কার, বিচারকদের জন্য আবাসন-সহ নানা দাবি পেশ করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.