সিউড়ি থেকে প্রকাশিত ‘মথ’ লিটল ম্যাগাজিনটি ন’বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ম্যাগাজিনটি সর্ম্পূণ ভিন্ন মাত্রার বলে পাঠক-পাঠিকাদের অভিমত। এ বারের অক্টোবর-ডিসেম্বর সংখ্যায় কিছু কবিতার সঙ্গে একটি ‘দুর্মূল্য’ গদ্য ছাপা হয়েছে। তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সাক্ষাৎকার। ১৯৩৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘ফরোয়ার্ড’ পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারটি হিন্দি থেকে অনুবাদ করেছেন পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন তৎকালীন হিন্দি সাহিত্যের চার জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বনারসী দাস চতুর্বেদী, সুদর্শন, চন্দ্রগুপ্ত বিদ্যালঙ্কার ও সত্যবতী। ওই সাক্ষাৎকারে রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্য নিয়ে বিস্তর আলোকপাত করেছেন। তাঁর রচিত ছোট গল্প ‘ছুটি’র ফটিক, ‘পোস্টমাস্টার’, ‘কাবুলিওয়ালা’ তাঁর নিজের দেখা চরিত্র বলে জানিয়েছেন। সামগ্রিক সাহিত্য প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, “আমার জন্ম ও লালন পালন কলকাতায়। এতএব আমি গ্রাম্য জীবন সর্ম্পকে অপরিচিত ছিলাম। এই কারণে গ্রাম আমার কাছে রহস্যাবৃত ছিল। যে রকমভাবে আমি সহজ সরলভাবে গ্রামবাসীদের সংস্পর্শে আসতে থাকি, ঠিক সেই রকম আমিও ওদের এক জন হয়ে উঠি। উপলব্ধি করি ওদের পরিবেশ, ওদের জগৎ- কলকাতার জগৎ থেকে একদমই ভিন্ন। আমার প্রারম্ভিক গল্পগুলো এই পটভূমির উপর ভিত্তি করে লেখা। আর সেগুলো গ্রাম্য জীবনের সঙ্গে সম্পর্কের কাহিনী বলে। এই সব গল্প লেখার আগে বাংলা সাহিত্যে এই ধরণের কিছু লেখাই হয়নি। নিঃসন্দেহে বঙ্কিমচন্দ্র কিছু গল্প লিখেছেন, কিন্তু সেগুলো মিশ্র রোমান্টিক গল্প।...আমার পরবর্তীকালের রচনা সমূহে সেই সতেজতা এবং কোমলতা আসেনি।”
|
৭০ ঊর্ধ্ব লাভপুরের যাদবলাল হাইস্কুলের ১৯৬১ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের (১১ ক্লাস) প্রথম ব্যাচের প্রায় ২৫-৩০ জন প্রাক্তণী গত রবিবার ওই হাইস্কুলে মিলিত হয়েছিলেন বিজয়া উৎসবে। বেশিরভাগেরই স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তণী বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়, অরবিন্দ প্রামাণিক, হরিসাধন সরকার প্রমুখ যেন ফিরে গিয়েছিলেন তাঁদের যৌবনে। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে কবিতা, গান, স্মৃতি কথায় কেটে গিয়েছিল সময়। কেউ কাউকে ছাড়তে চাইছিলেন না। পুরুষ ও মহিলা মহলে পৃথক আড্ডায় কেউ বাধাপ্রাপ্ত হননি। পরের ব্যাচ মহাদেব দত্তের পরিচালনায় সকলকে তৃপ্ত করেন শ্রতি নাটক ‘উত্তরণ’ দিয়ে।
|
যে কোনও ধরনের অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলার কাজ করে থাকেন অনুষ্ঠান সঞ্চালক। এই রকমই এক জন সঞ্চালক হলেন সিউড়ির বাসিন্দা পলাশ চৌধুরী। তিনি বর্তমানে বীরভূমের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি পরিদর্শক। প্রায় সহস্রাধিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালক পলাশ বাবুর অভিজ্ঞতা প্রচুর। যেমন একবার জেলা প্রাথমিক ক্রীড়া উৎসবের ঘটনা। পর্ষদের সভানেত্রী পারুল বর্মনের শান্তির পায়রা ওড়ানোর কথা। তিনি পায়রা উড়িয়েও ছিলেন। কিন্তু পায়রাটি একটি টেবিলের তলায় আশ্রয় নিয়েছিল। আমি এই তথ্য জানার আগেই শান্তি পায়রা নিয়ে অনেক কথা বলে যাচ্ছি। কিন্তু দর্শকরা হাসছেন। আসলে আমাকে যেখানে বসতে দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। পায়রার ঘটনাটা জানতে পেরে আশ্রয় নিলাম রবীন্দ্রনাথের ‘জড়ায়ে আছে বাধা, ছাড়ায়ে যেতে চাই / ছাড়াতে গেলে ব্যথা বাজে মুক্তি চাহিবারে।” উপস্থিত ও তাৎক্ষনিক বুদ্ধি এবং শব্দ প্রয়োগে পলাশবাবু অদ্বিতীয়। তাঁর কথায়, “যে কোনও ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রচুর পড়ানোর দরকার।” তিনি কর্মসূত্রে বীরভূম ছাড়াও রায়গঞ্জ, আসানসোলেও ছিলেন। সর্বত্রই তাঁর খ্যতি রয়েছে। ১৯৯৫ সালে রাজ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযাগিতা হয়েছিল সিউড়িতে। সেই সময় পলাশবাবু কর্মরত ছিলেন আসানসোলে। ওই ক্রীড়া উৎসব সঞ্চালনার জন্য তাঁকে ২১ দিনের জন্য ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল বীরভূমে।
|
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার মানবাজারে কবি অমরশঙ্কর দত্ত স্মরণে সাহিত্য আলোচনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়েছে। পুরুলিয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকার কবি ও সাহিত্যিকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
|
সম্প্রতি একটি নৃত্যানুষ্ঠান হয়েছে বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে। উদ্যোক্তা ‘সঙ্গীততীর্থ ও নৃত্যাঞ্জলি’ স্কুল। ওই স্কুলের নৃত্য বিভাগের অধ্যক্ষা শীলা দে বরাট জানান, প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রী-সহ অভিভাবকেরাও যোগ দিয়েছিলেন। অভিভাবকদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। ছাত্রছাত্রীরা গ্রুপ হিসেবে প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। ‘ক’ গ্রুপ প্রথম হয়েছে। মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও লোকসঙ্গীতে নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
|
পুরুলিয়ার জামতোড়িয়াতে সম্প্রতি একটি আদিবাসী সংস্থার উদ্যোগে দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। জানাম দিশাও উৎনাও গাঁওতা বাংলার অর্থ জন্মভূমি উন্নয়ন মঞ্চের সম্পাদক সুব্রত বাস্কে জানান, এলাকায় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ঠিক রাখতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। যেমন খুশি সাজো, আবৃত্তি, সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ও দুই সাঁওতালি গায়ককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। দুঃস্থ পড়ুয়াদের বই দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের সহসচিব গুরুপদ সরেন, বিধায়ক সুশান্ত বেসরা প্রমুখ। |