বেসামাল অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে পুলিশ কর্মী-সহ ১০ পথচারীকে জখম করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বালুরঘাট। ক্ষুব্ধ জনতা ওই তৃণমূল নেতা অমল চন্দের গাড়ি ভাঙচুর করে। তাঁকে মারধরের চেষ্টাও করে জনতা। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানার লকআপে ঢুকিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অভিযুক্ত নেতার শাস্তির দাবিতে বালুরঘাট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ শহরের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে ওই নেতা গাড়ি নিয়ে নিউ মার্কেটের দিকে যাওয়ার সময়ে পর পর পথচারীদের ধাক্কা মারেন। গাড়িতে তিনি একা ছিলেন। প্রথমে রঘুনাথপুরে এক সাইকেল চালককে গাড়ি ধাক্কা মারে। পরে শহরের ব্যস্ত এলাকায় সাড়ে ৩ নম্বর মোড়ে জখম হন আর এক সাইকেল আরোহী। এর পরে গাড়িটি ধাক্কা মারে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মারুতি গাড়িতে। জনতা পিছু তাড়া করলে ওই তৃণমূল নেতার গাড়ি ধাক্কা মারে এসএফআই অফিসের সামনে এক বৃদ্ধকে। এর পরে থানার সামনে ট্রাফিক মোড়ে এক পুলিশ কর্মী এবং এক পথচারীকে ধাক্কা মারেন। ফের পালাতে গিয়ে চকভবানী কালী মন্দিরের সীমানার পাঁচিলে ধাক্কা মারে। সেখানে কয়েকটি রিকশা দাঁড়িয়ে ছিল। রিকশার ৪ জন চালকও জখম হন। জখমদের মধ্যে ৪ জনকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। জেলার পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “অভিযুক্তের মেডিক্যাল করানোর জন্য আইসিকে বলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব খাঁ বলেন, “ঘটনার কিছুই জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।” অমলবাবু দলের সেবা সমিতির জেলা সভাপতি। এ বার বিধানসভা ভোটে তিনি কুমারগঞ্জ আসনের তৃণমূল প্রার্থী মাহমুদা বেগমের হয়ে নির্বাচনে প্রচারও করেন। দুর্ঘটনার পরে বালুরঘাট থানার লকআপে বসেও স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারছিলেন না ওই তৃণমূল নেতা। জড়ানো গলায় তিনি বলেন, “পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমি দুর্ঘটনা ঘটাইনি।” বালুরঘাট থানার আইসি শান্তনু কোঁয়ার বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |