টুকরো খবর
সিপিএমের এক লোকাল কমিটির সদস্য ও এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পাত্রসায়র থানার কৃষ্ণবাটি ও করজবুনি গ্রামে। প্রহৃত সিপিএম নেতা নিখিল সোমের বাড়ি কৃষ্ণবাটি গ্রামে। সিপিএম কর্মী সুনীল রায় করজবুনি গ্রামের বাসিন্দা।তৃণমূলের লোকেরাই তাঁদের মারধর করেছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিখিলবাবু সিপিএমের বালসি লোকাল কমিটির সদস্য। সুনীল রায় দলের সক্রিয় কর্মী। সিপিএমের বালসি লোকাল কমিটির সম্পাদক রঞ্জিত শ্যামের অভিযোগ, ‘বুধবার রাতে তৃণমূলের লোকেরা কৃষ্ণবাটি গ্রামে নিখিল সোমের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ি থেকে তাঁকে বের করে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে ওরাই করজবুনি গ্রামে সুনীল রায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকেও মারধর করে। বাধা দিতে গিয়ে তাঁর এক দাদাও মারধর খান।” তিনি জানান, নিখিলবাবু দু’পায়ে, হাতে ও পিঠে গুরুতর চোট পেয়েছেন। তাঁকে বর্ধমান মেজিক্যালে ভর্তি করানো হয়। সুনীলের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। তৃণমূলের ভয়ে ওরা থানায় অভিযোগ জানাতে যেতে পারছে না। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “বিধানসভা ভোটের আগে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসঅন্যতম পাণ্ডা ছিল নিখিল সোম ও সুনীল রায়। এলাকার বাসিন্দারা ওদের তাড়া করেছিলেন বলে শুনেছি। পুরো ঘটনাই সিপিএমের সাজানো। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুবরাজপুরে দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ৯ যাত্রী
দুর্ঘটনার পরে। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
একটি সরকারি বাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। কমপক্ষে ৯ জন জখম হয়েছেন। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম জিয়া চারলব (৪০)। ঝাড়খণ্ডের দুমকায় তাঁর বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টাকর মধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হেতমপুর ও দুবরাজপুরের মাঝে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে। এই ঘটনায় জখম ৫ যাত্রীকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর থেকে হরিশচন্দ্রপুরগামী একটি সরকারি বাস সিউড়ির দিকে আসছিল। দুবরাজপুরের হেতমপুর বাসস্ট্যান্ড পেরিয়ে নিরাময় যক্ষা হাসপাতালের কাছাকাছি উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। যাত্রী শেখ নুর আলম, যমুনা ঘোষরা বলেন, “চালকের তৎপরতায় আমরা বেঁচে গেলাম। যে ভাবে লরিটি বাসে ধাক্কা মারল তাতে বাস উল্টে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।” অন্য দিকে, মাথায় ও চোখে আঘাত নিয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা জিয়া চারলব। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলে তাঁকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আর এক জখম যাত্রী দুবরাজপুরের চিনপাইয়ের বাসিন্দা ভক্ত পাতর বলেন, “হাতে জোর লেগেছে। তবে এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম।” পুলিশ জানায়, লরির চালক ও খালাসি দুর্ঘটনার পর থেরে পালিয়েছে। দু’টি গাড়িকে আটক করা হয়েছে।

তালা খুলল না সমবায়ে
বাগসন্দা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির অফিসের তালা বৃহস্পতিবারও খোলা হল না। রানিবাঁধ ব্লকের এই সমবায় সমিতির কাজে বেনিয়ম ও পাশের বিক্রমডি গ্রামে তা সরানোর চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার তাঁরাই সমবায় সমিতির অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। বাগসন্দা কৃষি সমবায় সমিতির সম্পাদক সুবোধ মাহাতোর দাবি, “আমরা সমিতির সব সদস্যদের জানিয়ে অফিসের তালা খোলার চেষ্টা করছি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” রানিবাঁধের বিডিও তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই সমবায় সমিতির অফিসে তালা দেওয়ার ঘটনার কথা জানতাম না। খোঁজ নিয়ে ওই অফিস খোলার চেষ্টা করা হবে।” সমবায় সমিতির অফিসে তালা ঝোলানোর নেতৃত্বে থাকা স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরুণকুমার চেল বলেন, “সমবায় অফিস বাগসন্দা থেকে বিক্রমডি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই তালা খোলা হবে।”

গ্রেফতার ১০ পোস্তচাষি
পোস্ত চাষ করার অভিযোগে ১০ জন চাষিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার দামোদর নদ সংলগ্ন মাঝেরদ্বীপ গ্রাম থেকে তাঁদের ধরা হয়। ধৃতদের মধ্যে ৯ জন বর্ধমানের বুদবুদের বাসিন্দা। বাকি এক জন বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, মাঝদ্বীপ গ্রামে প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বহিরাহত চাষিরা পোস্ত চাষ করছিলেন বলে খবর ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে ওই গ্রামে এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) দিব্যজ্যোতি দাসের নেতৃত্বে পুলিশ হানা দেয়। কিন্তু রাতেই তাঁরা গ্রামে তল্লাশি চালাননি। সারারাত চাষযোগ্য একটি জমির পাশে লুকিয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল হতেই তাঁরা দেখেন, জমিতে পোস্ত ছড়াবার জন্য ১০ জন চাষি মাঠে হাজির হয়েছেন। বীজ ছড়ানো শুরু করতেই পুলিশ কর্মীরা চাষিদের ধরে ফেলেন। ধৃতদের কাছ থেকে ১০ কেজি পোস্ত উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, ওই পোস্ত তাঁরা মাদক জাতীয় দ্রব্য তৈরির জন্য এই পোস্ত তাঁরা বাইরে পাচার করতেন।

তরুণীর মৃত্যু, অভিযুক্তের জেল
বেলিয়াতোড়ের জঙ্গলে এক তরুণীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানে তাঁর বাড়ি। তাঁর স্ত্রী সূপর্ণা চট্টোপাধ্যায়কে (১৮)। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সূপর্ণার স্বামী সুব্রতকে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। গত রবিবার সকালে বেলিয়াতোড়ের বহড়াখুল্যা গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে সূপর্ণার অগ্নিদগ্ধ দেহ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান। তাঁদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছিল, ওড়না গলায় জড়িয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়। এর পরে পরিচায় গোপন রাখার জন্য তাঁর হায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে সূপর্নাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজন দেহটি শনাক্ত করেন।

দুর্নীতির তদন্তের দাবি শ্রমিকদের
ছবি: শুভ্র মিত্র।
সরকারি অনুদানের টাকায় দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিড়ি শ্রমিকেরা। অভিযোগের তদন্তের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর শ্রমদফতরে স্মারকলিপি দিলেন শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের পক্ষে বলরাম মালাকার, মালা মাঝি বলেন, “গৃহনির্মাণ বাবদ ২০১০-এর ২৪ মে ৫ হাজার টাকা করে পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই টাকা সিটু নেতা নিমাই লোহার ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়েছেন। তাই আমরা তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “নিমাইবাবুকে ডেকে আমি কথা বলব। সরকারের দেওয়া টাকা শ্রমিকেরা কেন হাতে পেলেন না তা জানতে চাওয়া হবে।” নিমাইবাবুর অবশ্য দাবি, “ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা আছে। কারণ অন্য প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য ওই টাকা সিকিউরিটি মানি হিসেবে জমা রাখতে হয়।”

পুকুরে ডুবে মৃত্যু
পুকুরে ডুবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অজয় দে (৪৫)। বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের চকবাজার এলাকায়। পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর শহরের কুমোরপাড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে পুকুরে দেহটি ভাসতে দেখে বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। মদ্যপ অবস্থায় পুকুরে পড়ে যাওয়ায় ওই দিন রাতে তিনি পুকুরে পড়ে যান বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

লক্ষ্মীসাগরে জল প্রকল্প
সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগরে পানীয় জলের প্রকল্প করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানান জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি। তিনি বলেন, “সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগরে পানীয় জলের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত রূপায়ণ করা হবে।” জঙ্গলমহলের উন্নয়নমূলক কাজগুলি অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.