বেলিয়াতোড়ের জঙ্গলে এক তরুণীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানে তাঁর বাড়ি। তাঁর স্ত্রী সূপর্ণা চট্টোপাধ্যায়কে (১৮)। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সূপর্ণার স্বামী সুব্রতকে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
গত রবিবার সকালে বেলিয়াতোড়ের বহড়াখুল্যা গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে সূপর্ণার অগ্নিদগ্ধ দেহ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান। তাঁদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অনুমান করেছিল, ওড়না গলায় জড়িয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়। এর পরে পরিচায় গোপন রাখার জন্য তাঁর হায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে সূপর্নাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজন দেহটি শনাক্ত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার ডিপিএল কলোনিতে সূপর্ণার বাপের বাড়ি। ২০১০ সালে তাঁর সঙ্গে সুব্রত’র বিয়ে হয়। তাঁর বাবা হিমাশু মিত্র জানান, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের নানা কারণে অশান্তি লেগে থাকত। বিয়ের কয়েক মাস পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে দুর্গাপুরে বাপের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর অভিযোগ, “টাকা চেয়ে সুব্রত আমার মেয়েকে মারধর করত। বাড়িতে নিয়ে আসার পরেও মাঝে মধ্যে সুব্রত ফোন করে সূপর্ণাকে হুমকি দিত।” তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তাঁরা স্বামী-স্ত্রী বাড়ির বাইরে ছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে দেখেন সূপর্ণা নেই। সম্ভাব্য জায়গায় সন্ধান না পেয়ে তাঁর নামে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশের কাছে খবর পেয়ে রবিবার বেলিয়াতোড় থানায় গিয়ে অগ্নিদগ্ধ দেহটি দেখে তা সূপর্ণার বলে তাঁরা দাবি করেন।
পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, সুব্রতই তাঁর মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দিয়ে খুন করেছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “নিহত তরুণীর পরিবারের অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” |