ক্রাশার খোলার দাবিতে পথ অবরোধ করলেন পঞ্চায়েত সদস্য। ভোগান্তি হল সাধারণ মানুষের।
রামপুরহাট ১ ব্লকের অন্তর্গত মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আলুপাহাড়ি-চাঁদেরজোল সংসদ থেকে নির্বাচিত নির্দল সদস্য দেবীলাল মাড্ডির দাবি, শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে বন্ধ হয়ে থাকা তাঁর নিজের ও আরও ১১টি ক্রাশার অবিলম্বে খোলার অনুমোদন দিতে হবে প্রশাসনকে। ওই পঞ্চায়েত সদস্য মল্লারপুর আম্বা মোড় থেকে শালবাদরা যাওয়ার রাস্তায় আলুপাহাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কিছু লোকজন নিয়ে অবরোধে বসেন। খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিশ এবং বিডিও গিয়ে অবরোধ তুলে দেন। বিডিও শান্তিরাম গড়াই বলেন, “দেবীলালবাবু নিজে এক জন পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েতের উপ-সমিতির শিল্প সঞ্চালক। অথচ তিনিই পথ অবরোধ করেছেন। তাঁকে বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নিতে বলা হয়। তাঁর দাবি সংবলিত যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আইন নিজের হাতে তুলে নিতেও তাঁকে নিষেধ করা হয়েছে।”
অন্য দিকে, দেবীলালবাবুর দাবি, গত ২৪ এপ্রিল শালবাদরা এলাকায় পাথর শিল্পে অশান্তির আগে তাঁরা ৭ জন অংশীদার মিলে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সেখানে একটি ক্রাশার বসিয়েছিলেন। ক্রাশার বসানো সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র তাঁর আছে। কিছু দিন ক্রাশারে কাজকর্মও হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “হঠাৎ করে পাথর খাদান মালিক সমিতি আমাকে পাথর জোগান দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সেই থেকে ক্রাশার বন্ধ হয়ে রয়েছে। একাধিকবার প্রশাসন ও খাদান মালিকপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমি পথ অবরোধে নেমেছি। পাশাপাশি বন্ধ থাকা আরও ১১টি ক্রাশার খোলার দাবিও জানিয়েছি।”
শালবাদরা স্টোন অ্যান্ড মাইনস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজ শেখ বলেন, “গত বছর ২২ অগস্ট শালবাদরা এলাকায় ১৬০টি ক্রাশার চালু হয়। সেই সময় যৌথ কমিটিতে আরও নির্মীয়মাণ ১২টি ক্রাশার খোলার ব্যাপারে প্রস্তাব পাশ হয়। মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে প্রশাসন যাবতীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পরেই ক্রাশার খুলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। দেবীলালবাবুর ক্রাশার নিয়ে আগের মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। বর্তমান মহকুমাশাসককেও বলা হয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, দেবীলালবাবু যৌথ কমিটির সিদ্ধান্ত না মেনে ক্রাশার চালু করেছিলেন। |