টুকরো খবর
১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ
একশো দিনের কাজে পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে লাগাতার আন্দোলনে নামল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের সামনে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গরিব মানুষের বকেয়া টাকা মিটিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আয়লার পরে এক ফসলি এলাকা হিসাবে হিঙ্গলগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। চাষ নেই, এলাকায় অন্য কাজেরও অভাব। এই পরিস্থিতিতে বহু মানুষ রুজিরুটির সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ আর্থিক বছরে যোগেশগঞ্জ, হেমকাটি মাধবকাটি এবং পাটঘরা মৌজায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বহু পুকুর খনন হয়, রাস্তা তৈরি হয়। কিন্তু একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই কাজে যুক্ত প্রায় শ’তিনেক শ্রমিক এখনও কোনও টাকা পাননি। আয়লার পরে মানুষ চরম দুর্দশায় পড়েন। তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত থেকে বকেয়া টাকা মেটানো হয়নি। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান মুরারিমোহন মণ্ডলের কাছে দরবার করা হলেও সুরাহা হয়নি। এরই প্রতিবাদে শুরু হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভ। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সনৎ মণ্ডল বলেন, “প্রধানের কাছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পান দরিদ্র শ্রমিকেরা। সরকারি ভাবে টাকা দেওয়া হলেও গ্রামের মানুষকে ঠকিয়ে সেই টাকা ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে, জবকার্ড হাতিয়ে নিয়ে পোস্ট অফিস থেকে তোলা হয়েছে। সিপিএম কর্মীরাই এ জন্য দায়ী।” অনেক ক্ষেত্রে ভুয়ো কাজ দেখিয়েও টাকা তোলা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। প্রধান বলেন, “একশো দিনের কাজ বাবদ শ্রমিক ও ঠিকাদারেরা প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা পাবেন। ওই টাকা আমরা কেউ তুলে নিইনি। আইন মেনে মাস্টার রোল না করায় টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।”

ম্যাজিস্ট্রেটের ঘরে ভাঙচুরের অভিযোগ
মামলা চলাকালীন ম্যাজিস্ট্রেটের ঘরে ঢুকে টেবিলের কাচ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক অজয় পাল স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। প্রশাসনিক ভবন সূত্রে খবর, দুপুরে আদালত বসলে একটি মামলার রায় নিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবুর বচসা বাধে ম্যাজিস্ট্রেট দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের সঙ্গে। আদালত সূত্রে খবর, ওই মামলার আইনজীবী রবীন্দ্রনাথবাবু না হলেও তিনি বিষয়টি নিয়ে চেঁচামেচি করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আপত্তি জানালে তাঁকে গালি-গালাজ করে ভাঙচুর চালান বলেও অভিযোগ। এর জেরে আদালতের কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান মহকুমাশাসক। অজয়বাবু বলেন, “এর পরে আমার ঘরে ঢুকেও ওঁরা চেঁচামেচি করেন। মামলা চলাকালীন তাতে জোর করে হস্তক্ষেপ, ম্যাজিস্ট্রেটকে হেনস্থা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মামলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে।” রবীন্দ্রনাথবাবুর অবশ্য দাবি, “ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা। মহকুমাশাসক একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবো। দীর্ঘদিন ধরে বহু মামলা ফেলে রেখেছেন এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটেরা। এতে সাধারণ মানুষ ভুগছেন। তা-ই আজ বলতে গিয়েছিলাম।”

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার দুষ্কৃতী
এক সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবরা রাতে কাকদ্বীপের ভুতোমোল্লার পোল মোড়ের কাছে বলদিয়া গ্রাম থেকে রেয়াজুল শেখ নামে ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশ ধরে। তার বাড়ি স্তানীয় দু’নম্বর উত্তর রামতনুনগরে। ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় নয়াচরের কাছে মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলারে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। ট্রলারে লুঠপাটের পহরে মৎস্যজীবীদের তাড়া খেয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা যে নৌকায় চেপে এসেছিল তা ফেলে যায়। ঘটনার পরে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে কাকদ্বীপ ও হলদিয়ার পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় রেয়াজুলকে। পুলিশের দাবি, জেরায় রেয়াজুল স্বীকার করেছে যে সেদিন ট্রলারে লুঠপাটের ঘটনায় সে জড়িত ছিল। ধৃতকে বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন।

দেওয়ালে ট্রেকারের ধাক্কা, মৃত ১
যাত্রীবোঝাই একটি ট্রেকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারলে ট্রেকার থেকে ছিটকে পড়ে এক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হন কয়েকজন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর-মগরাহাট রোডে জুগদিয়া বাসমোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম বলরাম মণ্ডল (২৫)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় হরিশঙ্করপুর গ্রামে। আহতদের পদ্মেরহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ মগরাহাট থেকে যাত্রীবোঝাই ট্রেকারটি বারুইপুরের দিকে যাচ্ছিল। জুগদিয়া বাসমোড়ের কাছে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বাড়ির দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে। আচমকা ধাক্কার চোটে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন বলবারমবাবু-সহ কয়েকজন। সকলেকেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মারা যান বলরামবাবু। পুলিশ ট্রেকারটি আটক করলেও চালক ও খালাসি পলাতক।

ট্রেন থেকে দুই স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করল রেলপুলিশ
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের একটি স্কুলের দুই ছাত্রকে বুধবার গভীর রাতে সন্ডালিয়া স্টেশনে হাসনাবাদ লোকাল থেকে উদ্ধার করল রেলপুলিশ। রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মজ আকাশ ও ঋষভ চক্রবর্তী নামে ওই দুই ছাত্র ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ হাসনাবাদ লোকালে পাহারা দেওয়ার সময় স্কুলের পোশাক পরা দুই ছাত্রকে দেখে সন্দেহ হয় রেলপুলিশের। ট্রেনটি বসিরহাট স্টেশনে পৌঁছলে তাদের পুলিশ চৌকিতে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। ওই রাতেই বাড়ির লোকজন এসে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যান। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, স্কুল পালাতে গিয়েই তারা এই কাণ্ড করেছে।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘর থেকে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের গণেশনগর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার নাম অঞ্জলি মণ্ডল (৪৫)। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির কারণে মানসিক অবসাদে অঞ্জলিদেবী আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

ফাঁকা বাড়িতে চুরি
সিমলা বেড়াতে গিয়ে হৃদ্রোগে মারা যান এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে বাড়ি ফাঁকা রেখেই তড়িঘড়ি সিমলা চলে গিয়েছিলেন পরিবারের অন্য সদস্যেরা। পুলিশ জানায়, সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে চম্পট দিল এক দল দুষ্কৃতী। বুধবার গভীর রাতে বারাসতের নবপল্লিতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ১৩ অক্টোবর সিমলা বেড়াতে যান জয়ন্ত দত্তগুপ্ত (৬৪) নামে ওই ব্যক্তি। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা দেহ আনতে যান। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশিরা জয়ন্তবাবুর বাড়ির দরজা ভাঙা দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেখে ঘরের ভিতরে জিনিসপত্র উধাও।

ছাত্র ‘খুনে’ গ্রেফতার
খড়দহের রুইয়ায় সুমন সাহা নামে এক কলেজ ছাত্রকে খুনের ঘটনায় স্থানীয় তোলাবাজ বিজিত বিশ্বাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত রবিবার রুইয়া নালির মাঠের কাছে সুমনের সঙ্গে বচসা বাধে বিজিতের। অভিযোগ, তার স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সন্দেহে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে সুমনকে খুন করে বিজিত ও তার দুই সঙ্গী। বৃহস্পতিবার খড়দহ থানার পুলিশ সাদা পোশাকে টহল দেওয়ার সময়ে এক ফেরিওয়ালার থেকে বিজিতকে কেনাকাটা করতে দেখে। পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়ে যায় বিজিত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.