দলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন। অভিযোগ, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে মহুলা ঘোষপাড়ার ১৭৫ মিটার রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ করা টাকার থেকে অনেক কম টাকায় রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেলডাঙার মহুলা-১ পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য বাকা রায় দাস বলেন, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই রাস্তাটি পুননির্মাণে তিন লক্ষ টাকা খরচ করার কথা ছিল। তবে কেবল ৬০ হাজার টাকায় ওই রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। নিম্নমানের জিনিস দিয়ে খুব কম সময়ে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি রাস্তার কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না। আমরা চাই বিডিও বিষয়টি দেখে সমস্যার সমাধান করুন।” বিডিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। নির্মীয়মান ওই রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীদেরও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের দাবি, যে পরিমান ইট দিয়ে রাস্তা সারাই করার কথা ছিল তা প্রকৃতপক্ষে দেওয়া হয়নি। রাস্তার কাজে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। এই অভিযোগে এর আগে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখান। তাঁরা বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগও জানিয়েছেন। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে কাজের বিবরণ ও খরচের হিসাব লিখে যে বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা টাঙানো হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। গ্রামবাসী অনুপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দিচ্ছেন। আমরা গ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের কাবেরী ঘোষ বলেন, “সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদি কোনও বেনিয়ম হয়ে থাকে তবে বিডিও-কে আমি সেই ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে জানাব। সমস্ত নথি-সহ প্রয়োজনীয় প্রমান দেব।” বেলডাঙা-১ এর বিডিও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই এলাকার একটি রাস্তা নিয়ে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের সঙ্গে কথাও হয়েছে। যদি কাজে ত্রুটি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |