কাঁটাতারের ওপারে নিজের জমিতে চাষ করতে গিয়ে খুন হয়েছেন এক ব্যক্তি। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম শুকদেব বিশ্বাস (৫০)। বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ কাঁটাতারের ওপারে কলাবাগানের পাশে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের ধারণা, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরাই তাঁকে খুন করেছে। তারপরে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। পরে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এই ঘটনার পরে নদিয়ার জেলাশাসক অভিনব চন্দ্র বলেন, “বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এই ঘটনার যুগ্ম ভাবেই তদন্ত করা হবে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই সব কথা বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে জানানো হবে।” শুকদেববাবুর ভাইপো অসিত বিশ্বাস বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে কাকা ধান জমিতে জল দিতে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে খুন করা হয়েছে।” বছর তিনেক আগে হাঁসখালি থানার রামনগর এলাকায় কাঁটাতারের ওপারে চাষ করতে যাওয়া এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশিরা। চার দিন পরে ইছামতী নদীতে তাঁর দেহ ভাসতে দেখা যায়। বিএসএফের অবশ্য বক্তব্য যে, তারা যথেষ্ট কড়া ভাবেই সীমান্ত পাহারা দেয়। কাঁটাতারের ওপারে চাষ করতে যাওয়া চাষিদের উপরে তাঁদের নজর থাকে বলেও সীমান্তরক্ষীদের দাবি। জেলাশাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “চাষিদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আমি সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে কথা বলব।” |