নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক দিকে মরসুমের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর মধ্যে যথেষ্ট ক্রিকেট এখনও বেঁচে আছে। অন্য দিকে আবার জামশেদপুরে লক্ষ্মীরতন শুক্লর দাপট বুঝিয়ে দিল, জাতীয় টি টোয়েন্টিতে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই এসেছে বাংলা।
বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সৌরভ যখন ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করে দিয়েছেন, মাত্র ৫৮ বল খেলে করে ফেলেছেন ৬৪ ন:আ (৭-টা চার, তিনটে ছয়), তার কাছাকাছি সময়ে জামশেদপুরের কিনান স্টেডিয়ামে বাংলার অসম-বধের পর্ব চলছিল। স্কোরবোর্ডে খুব বেশি রান নেই, অসমের আস্কিং রেট ছয়ের একটু উপরে। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা তোলা জলভাত। কিন্তু লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং ইরেশ সাক্সেনার দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে গুটিয়ে গেল অসম। ২০ ওভারে ১৩১-৫ তুলে বাংলা অনায়াসে ম্যাচ জিতল ৩৮ রানে। সৌজন্য---লক্ষ্মী-ইরেশের তিনটে করে উইকেট।
কিনানের উইকেটের সঙ্গে পরিচিতি না থাকায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একটি অসুবিধাতেই পড়ে যায় বাংলা। অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা (২৪ বলে ১৭), অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালা (১১ বলে ৬) কেউ দাঁড়াতে পারেননি। মন্দের ভাল শুভময় দাস (৪২ বলে ৩৬ ন:আ:) এবং অনুষ্টুপ মজুমদার (২৩ বলে ২৮)। কিন্তু তাতেও খুব বেশি রান ওঠেনি। উল্টে রান তাড়া ভালই করছিল অসম। প্রথম ৬ ওভারে ২৭ রান উঠে গিয়েছিল, উইকেট পড়েনি। পরিস্থিতি যখন বাংলার বিপক্ষে যাচ্ছে ধীরে-ধীরে, তখনই পরপর উইকেট তুলতে শুরু করেন লক্ষ্মী। একই ওভারে তুলে নেন দু’উইকেট। পরে আরও একটা। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২০ রানে তিনটে। জামশেদপুর থেকে ফোনে লক্ষ্মী বলছিলেন, “রান খুব বেশি হাতে ছিল না। জিততে গেলে তাড়তাড়ি উইকেট তুলতে হত। টিমের সিনিয়রদের একজন আমি। কঠিন পরিস্থিতিতে তো আমাদেরই ম্যাচ বের করতে হবে।” প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গত করেন বাঁ-হাতি স্পিনার ইরেশ সাক্সেনা (৩-১৩)। অলরাউন্ডার অর্ণব নন্দীও দু’টি উইকেট পান। |